ফজলে রাব্বির বীরোচিত ইনিংসেও পিছিয়ে বরিশাল

ছবি: ফজলে রাব্বি, সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে জাতীয় ক্রিকেট লীগের (এনসিএল) টায়ার ১ এর ম্যাচের শেষ দিন ৪৫৮ রানে অলআউট হয়েছে শাহরিয়ার নাফিস, সোহাগ গাজিদের বরিশাল বিভাগ। এদিন রংপুর বিভাগের ৫০২ রানের জবাবে ১১৮ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমেছিল বরিশাল। কিন্তু স্কোর বোর্ডে মাত্র ৭৪ রান যোগ করতেই অলআউট হয়েছে তারা।
ফলে বরিশালের থেকে ৪৪ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করার সুযোগ পাচ্ছে রংপুর। তবে বরিশালের এই সংগ্রহের পেছনে মূল অবদান ছিল দুই সেঞ্চুরিয়ান সোহাগ গাজি এবং ফজলে রাব্বি মাহমুদের। গাজি গতকাল ১২৮ রানে আউট হলেও ১৩০ রানে অপরাজিত থেকে আজ খেলা শুরু করেছিলেন রাব্বি।
এরপর এই ইনিংসটিকে ১৯৫ রান পর্যন্ত নিয়ে যান তিনি। যদিও শেষ পর্যন্ত তাঁকে দ্বিশতকের আশা পূরণ করতে দেননি রংপুরের পেসার শুভাশিস রায়। মাহমুদুল হাসান লিমনের হাতে ক্যাচ বানিয়ে রাব্বিকে সাজঘরে পাঠান তিনি।
আর তাঁর বিদায়ে ৫ উইকেটে ৩৮৪ রানে দিন শুরু করা বরিশাল আর এগোতে পারেনি। রাব্বি এবং গাজি ছাড়াও আগের দিন ৫৯ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন রাফসান আল মাহমুদ।

রংপুরের পক্ষে লিমন ৭১ রানে ৪টি, শুভাশিস ৫৬ রানে ২টি এবং সাজেদুল ইসলাম ৬২ রানে ২টি উইকেট শিকার করেছেন। এছাড়াও ১টি করে উইকেট পেয়েছেন আরিফুল হক এবং সোহরাওয়ার্দি শুভ।
এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে জাতীয় দলের অলরাউন্ডার আরিফুল হকের দ্বিশতকে ভর করে ৫০২ রানের পাহাড়সম পুঁজি পেয়েছিল রংপুর বিভাগ। ২৩১ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেছিলেন আরিফুল। দলের পক্ষে আরিফুল ছাড়াও দারুণ খেলেছিলেন ওপেনার জাহিদ জাবেদ এবং নাইম ইসলাম। জাবেদ ৬২ এবং নাইম ৯২ রানের ইনিংস খেলেন।
বরিশাল ডিভিশনের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ করে উইকেট পান সোহাগ গাজি এবং মনির হোসেন। এছাড়াও ২টি উইকেট শিকার করতে পেরেছেন অধিনায়ক কামরুল ইসলাম রাব্বি।
রংপুর ডিভিশন একাদশ-
সোহরাওয়ার্দি শুভ, সাজেদুল ইসলাম (অধিনায়ক), নাইম ইসলাম, আরিফুল হক, তানবির হায়দার খান, মাহমুদুল হাসান লিমন, শুভাশিষ রায়, জাহিদ জাবেদ, মিম মোসাদ্দেক, নুর আলম সাদ্দাম, ধিমান ঘোষ (উইকেটরক্ষক)।
বরিশাল ডিভিশন একাদশ-
কামরুল ইসলাম রাব্বি (অধিনায়ক), শাহরিয়ার নাফিস, সোহাগ গাজি, ফজলে রাব্বি মাহমুদ, মনির হোসেন খান, সালমান হোসেন ইমন, রাফসান আল মাহমুদ, নুরুজ্জামান, শামসুল ইসলাম অনিক (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ আল-আমিন, লিংকন দে সঞ্জয়।