|| ডেস্ক রিপোর্ট || 

খুলনা ডিভিশনের বিপক্ষে জাতীয় ক্রিকেট লীগের (এনসিএল) টায়ার ১ এর ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৫৫২ রানের পাহাড়সম পুঁজি পেয়েছিল রাজশাহী ডিভিশন। জবাবে খেলতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসেও শতক হাঁকিয়েছেন খুলনার তুষার ইমরান।

আর তাঁর টানা দ্বিতীয় শতকে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছিল তাঁর দল।দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে এরই মধ্যে রেকর্ডবুকে জায়গা করে নিয়েছেন তুষার। প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে দ্বিতীয়বারের মত জোড়া শতক হাঁকানোর কীর্তি গড়েছেন তিনি।

আগের দিন ১২৮ রান নিয়ে অপরাজিত থাকা তুষার আজ আবারও খেলতে নেমে নিজের রান নিয়ে গিয়েছেন দেড়শ এর কোটায়। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১৫১ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন তিনি। তুষারের পাশাপাশি দারুণ খেলছেন ওপেনার আনামুল হক বিজয়ও। ৭২ রান নিয়ে দিন শুরু করা বিজয়ও তুলে নিয়েছেন অনবদ্য একটি শতক। বর্তমানে তাঁর সংগ্রহ ১১৩ রান। আর খুলনা দলীয় সংগ্রহ এখন পর্যন্ত ২ উইকেটে ২৭৪ রান। 

এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে মাত্র ২১০ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল খুলনা। দলটিকে এত অল্প রানে গুঁটিয়ে দেয়ার পেছনে মূল ভূমিকা পালন করেছিলেন পেসার শফিউল ইসলাম। ১২ ওভারে মাত্র ৪৩ রান খরচায় ৫ উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি। এছাড়াও ২টি করে উইকেট পান দেলোয়ার হোসেন এবং সানজামুল ইসলাম।

খুলনার এই রানের জবাবে মিজানুর রহমান এবং জহুরুল ইসলামের জোড়া শতকে ৫৫২ রানের বিশাল পুঁজি দাঁড়া করায় রাজশাহী। ব্যাট হাতে ১৬৩ রানের অপরাজিত একটি ইনিংস খেলেন জহুরুল।  আর মিজানুরের ব্যাট থেকে এসেছে ১১৩ রান। 

এরপর নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে শুরুতে রবিউল ইসলাম রবির এবং আফিফ হোসেনের উইকেট দুটি হারালেও তুষার এবং বিজয়ের ব্যাটে বিপদ সামলে ওঠে খুলনা। বর্তমানে এই দুই ব্যাটসম্যানের ব্যাটে লিডের স্বপ্ন দেখছে খুলনা। 

খুলনা ডিভিশন একাদশ-

কাজি নুরুল হাসান সোহান (উইকেটরক্ষক), খান আব্দুর রাজ্জাক (অধিনায়ক), তুষার ইমরান, জিয়াউর রহমান, আনামুল হক বিজয়, সৌম্য সরকার, নাহিদুল ইসলাম, আফিফ হোসেন, আল-আমিন হোসেন, রবিউল ইসলাম রবি, মেহেদি হাসান। 

রাজশাহী ডিভিশন একাদশ- 

জহুরুল ইসলাম (অধিনায়ক), ফরহাদ রেজা, ফরহাদ হোসেন, জুনায়েদ সিদ্দিকি, নাজমুল হোসেন শান্ত, মিজানুর রহমান, সানজামুল ইসলাম, তাইজুল ইসলাম, সাব্বির রহমান, দেলোয়ার হোসেন।