তুষারের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে সুবিধাজনক অবস্থানে খুলনা

ছবি: তুষার ইমরান, সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
খুলনা ডিভিশনের বিপক্ষে জাতীয় ক্রিকেট লীগের (এনসিএল) টায়ার ১ এর ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৫৫২ রানের পাহাড়সম পুঁজি পেয়েছে রাজশাহী ডিভিশন। এরপর খেলতে নেমে তুষার ইমরানের শতকে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান নিয়ে আজকের খেলা শেষ করতে সক্ষম হয় খুলনা। এই নিয়ে প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও শতকের দেখা পেলেন ৩৪ বছর বয়সী তুষার। তাঁর সাথে বর্তমানে ক্রিজে ৭২ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন আনামুল হক বিজয়।
এদিন রাজশাহীর এই বিশাল সংগ্রহের পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছেন দুই সেঞ্চুরিয়ান মিজানুর রহমান এবং জহুরুল ইসলাম। ম্যাচের দ্বিতীয় দিন মিজানুর ১০২ রানে আউট হলেও ৯১ রানে অপরাজিত থেকে দিনের খেলা শেষ করেছিলেন জহুরুল।
আজ তৃতীয় দিন খেলতে নেমেই ব্যাট হাতে ১৬৩ রানের অপরাজিত একটি ইনিংস খেলেন তিনি। এর ফলে ৪৪৬ রান নিয়ে দিন শুরু করা রাজশাহী বিশাল পুঁজি পায়। জহুরুলের সঙ্গী হিসেবে ৪০ রানে অপরাজিত থেকে আজ খেলতে নেমে সানজামুল ইসলাম খেলেন ৬৪ রানের আরেকটি অনবদ্য ইনিংস।

এর আগে ম্যাচের প্রথম দিন রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন খুলনার অধিনায়ক খান আব্দুর রাজ্জাক। পরবর্তীতে ব্যাটিংয়ে নেমে তুষার ইমরান অনবদ্য একটি সেঞ্চুরি হাঁকালেও বেশি রান করতে পারেনি দলটি।
রাজশাহীর বোলারদের তোপে মাত্র ২১০ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল সৌম্য, সোহানদের খুলনা। তুষার সর্বোচ্চ ১০৪ রান করলেও বাকি ব্যাটসম্যানদের কেউই সেভাবে ভাল করতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬ রান এসেছে আনামুল হক বিজয় এবং নাহিদুল ইসলামের ব্যাট থেকে।
খুলনাকে এত অল্প রানে গুঁটিয়ে দেয়ার পেছনে মূল ভূমিকা পালন করেছিলেন পেসার শফিউল ইসলাম। ১২ ওভারে মাত্র ৪৩ রান খরচায় ৫ উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি। এছাড়াও ২টি করে উইকেট পান দেলোয়ার হোসেন এবং সানজামুল ইসলাম।
খুলনা ডিভিশন একাদশ-
কাজি নুরুল হাসান সোহান (উইকেটরক্ষক), খান আব্দুর রাজ্জাক (অধিনায়ক), তুষার ইমরান, জিয়াউর রহমান, আনামুল হক বিজয়, সৌম্য সরকার, নাহিদুল ইসলাম, আফিফ হোসেন, আল-আমিন হোসেন, রবিউল ইসলাম রবি, মেহেদি হাসান।
রাজশাহী ডিভিশন একাদশ-
জহুরুল ইসলাম (অধিনায়ক), ফরহাদ রেজা, ফরহাদ হোসেন, জুনায়েদ সিদ্দিকি, নাজমুল হোসেন শান্ত, মিজানুর রহমান, সানজামুল ইসলাম, তাইজুল ইসলাম, সাব্বির রহমান, দেলোয়ার হোসেন।