বিপিএল

সিলেটের হয়ে বিপিএলে খেলবেন জোন্স

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 20:46 বুধবার, 27 নভেম্বর, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান খেলার তালিকায় শুরুর দিকে নাম নেই ক্রিকেটের। দেশটিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা আমেরিকান ফুটবল। এ ছাড়া বাস্কেটবল, আইস হকি ও রেসলিংও তুমুল জনপ্রিয়। সেদেশের কোনো ক্রিকেটার বিশ্ব মাতাবেন সেটাই হয়তো অনেকের কল্পনার খোড়াক ছিল। তবে সেটাই বাস্তবে রূপ দিয়েছেন হারমিত সিং, অ্যারন জোন্সরা। হারমিত চলতি গ্লোবাল সুপার লিগেই খেলছেন রংপুর রাইডার্সের।

এবার আসন্ন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের জন্য জোন্সকে দলে নিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। নিজেদের ফেসবুক পেজে একটি পোস্টের মাধ্যমকে এই ক্রিকেটারকে দলে নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। গত বিশ্বকাপেই উদ্বোধনী ম্যাচে কানাডাকে ৭ উইকেটে হারিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।

সেই ম্যাচে জোন্সের ৪০ বলে ৯৪ রানের ঝড়ে ১৯৫ রানের লক্ষ্য ১৪ বল বাকি থাকতেই ছুঁয়ে ফেলেছিল যুক্তরাষ্ট্র। সেই বিশ্ব আসরে দলটির অন্যতম সেরা পারফর্মার ছিলেন এই জোন্স। বিশ্বকাপে ৬ ইনিংসে তার ব্যাট থেকে ৪০.৫ গড়ে এসেছিল ১৬২ রান।

এমন পারফরম্যান্সের সুবাদে ঘরের মাঠের মেজর লিগ ক্রিকেট থেকে শুরু করে সিপিএল প্রতিটি টুর্নামেন্টেই হটকেক ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের এই ক্রিকেটার। সিপিএল ফাইনালে ৩১ বলে ৪৮ রান করে সেন্ট লুসিয়া কিংসকে শিরোপাও জিতিয়েছিলেন তিনি। এদিকে জোন্স কিন্তু এবারই প্রথম বিপিএলে খেলছেন না। বিপিএলের গত আসরে তাকে দেখা গিয়েছিল রংপুর রাইডার্সের জার্সি গায়ে। 

তবে এক ম্যাচের বেশি খেলার সুযোগ হয়নি তার। ব্যাটিং বোলিং কিছুই করেননি সেই ম্যাচে। তবে নিয়েছিলেন একটি ক্যাচ। এবার হয়তো সিলেটের হয়ে আরও বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের এই ক্রিকেটারের।

জোন্সের ক্রিকেটার হওয়ার গল্পটাও বেশ অনুপ্রেরণাদায়ী। জোন্সের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে হলেও তার পরিবারের আদি নিবাস ছিল বার্বাডোসে। জোন্সের দাদা পাগলের মতো ভালোবাসতেন ক্রিকেট। তবে তার ক্রিকেটার হয়ে ওঠার পেছনে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা দিয়েছেন তার বন্ধুরাই।

ছোট থেকেই তাদের সঙ্গে বিভিন্ন খেলায় মেতে থাকতেন জোন্স। তার পরিবার এক সময় যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে গিয়েছিল বার্বাডোসেও। সেই সময় বহুদিন ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় দলের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখেছেন। পরে উপলব্ধি করেছেন, পথটা ভীষণ কঠিন।

বার্বাডোজের হয়ে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন, লিস্ট-এ ক্রিকেট খেলছেন নিয়মিত। তবে একসময় সবকিছু থামিয়ে ফিরে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানকার ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত খেলে। ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছেন দেশটির ক্রিকেটের ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর’দের একজন।