|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
পেসার আহমেদ শরীফের তোপের পরও দ্বিতীয় ইনিংসে এসে লিডের দেখা পেয়েছিল রাজশাহী বিভাগ। লিড পেলেও হারের দুয়ারেই ছিল সফরকারীরা। ঘরের মাঠে মাত্র ৮১ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে যাওয়াটা সহজই ছিল চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য। সাদিকুর রহমান, পারভেজ হোসেন ইমন ও সাজ্জাদুল হকের ব্যাটে ৯ উইকেটের জয় পেয়েছে চট্টগ্রাম। জাতীয় ক্রিকেট লিগের এবারের আসরে টানা দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেল তারা।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ৮১ রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হয় স্বাগতিকদের। লক্ষ্য খুব বেশি বড় না হওয়ায় একেবারে শুরু থেকেই ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং করতে থাকেন সাদিকুর ও পারভেজ ইমন। জুটির পঞ্চাশ হওয়ার আগেই পারভেজ ইমনকে ফেরান সানজামুল ইসলাম। বাঁহাতি স্পিনারের বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েন বাঁহাতি এই ওপেনার। ৭.৪ ওভারে ৪৬ রান তুললেও ম্যাচ জিততে চট্টগ্রামকে খেলতে হয়েছে ১৭.৪ ওভার।
তিনে নেমে খানিকটা ধীরগতির ছিলেন সাজ্জাদুল। তবে ওপেনার সাদিকুর রান তুলেছেন দ্রুতই। দলকে ৯ উইকেটের জয় এনে দিয়ে চট্টগ্রামের ওপেনার অপরাজিত ছিলেন ৪৬ বলে ৪৭ রানের ইনিংস খেলে। তাকে সঙ্গ দেয়া সাজ্জাদুলের ব্যাট থেকে এসেছে ৪০ বলে ১৭ রান। ৫ ম্যাচে ২ জয় ও এক ড্র’তে ৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচে আছে ইয়াসির আলী রাব্বির দল। তাদের নিচে অবস্থান করছে খুলনা, রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগ।
সকালের শুরুতে ৮ উইকেটে ২০২ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন রাজশাহীর শাখির হোসেন শুভ্র এবং ওয়ালিদ। যদিও আগের দিনের সঙ্গে খুব বেশি রান যোগ করতে পারেননি তারা দুজন। মাত্র ১৮ রান যোগ করেই ২২০ রানে অল আউট হয়েছে সফরকারীরা। হাফ সেঞ্চুরির অপেক্ষায় থাকলেও ৪৭ রানে ফিরতে হয়েছে শাখিরকে। ওয়ালিদ অবশ্য আউট হয়েছেন ১৬ রানে। চট্টগ্রামের হয়ে শরীফ পাঁচটি, নাঈম হাসান তিনটি এবং ইরফান হোসেন নিয়েছেন দুটি উইকেট।
মজিদ-ইফতেখারের ব্যাটে এগিয়ে বরিশাল
প্রথম ইনিংসে ৭০ রান করা ইফতেখার হোসেন ইফতি এবার অপরাজিত ৬০ রানে। জাতীয় ক্রিকেট লিগের পঞ্চম রাউন্ডে এসে দুই ইনিংসেই হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া ইফতেখারের সঙ্গে পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলেছেন আব্দুল মজিদ। তাদের দুজনের ব্যাটে রংপুর বিভাগের বিপক্ষে ১৩৩ রানের লিড পেয়েছে বরিশাল বিভাগ। লিড বাড়িয়ে নিতে চতুর্থ দিন সকালে ব্যাটিংয়ে নামবেন আদিল বিন সিদ্দিক ও ইফতেখার।
সকালের শুরুতে ৫ উইকেটে ২১৮ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন রংপুরের তানবীর হায়দার ও আরিফুল হক। দুজনই থিতু হলেও কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি। আরিফুল ৩৮ রানে ফেরার পর তানবীর আউট হয়েছেন ৩১ রানে। শেষ দিকে নবিন ইসলামের অপরাজিত ৩০ ও আব্দুল গাফফারের ২১ রানে ৩২২ রানের পুঁজি পেয়েছে রংপুর। বরিশালের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছে রুয়েল মিয়া ও মইন খান।
রংপুরের চেয়ে ১৪ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে বরিশাল। মজিদ ও ইফতেখারের ব্যাটে দারুণ শুরু পায় তারা। তাদের দুজনের ১১৮ রানের জুটি ভাঙেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। ৯৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা মজিদ ৫২ রানে ফিরেছেন মুগ্ধর বলে উইকেটের পেছনে মিম মোসাদ্দেককে ক্যাচ দিয়ে। ১০৩ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়া ইফতেখার দিন শেষ করেছেন ১১৬ বলে ৬০ রানে অপরাজিত থেকে। আরেক ব্যাটার আদিল এক বলে অপরাজিত শূন্য রানে।