|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
খুলনার শেখ আবু নাসের ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জাতীয় লিগের খেলায় আবারও সেঞ্চুরি হাঁকালেন অমিত হাসান। তার সেঞ্চুরিতে ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে ৩৭৬ রানের সংগ্রহ পেয়েছে সিলেট বিভাগ। দ্বিতীয় ইনিংসে জবাব দিতে নেমে খালেদ আহমেদ এবং রেজাউর রহমান রাজার তোপের মুখে পরে মেট্রো। ৪৯ রান তুলতেই চার উইকেট হারায় তারা। এখনও ১৯৭ রানে পিছিয়ে দলটি।
দুই উইকেটে ১৩৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে সিলেট। আগের দিন হাফ সেঞ্চুরি হয়ে যাওয়াতে শুরু থেকেই ফুরফুরে মেজাজে ব্যাট চালাচ্ছিলেন অমিত। মুবিন আহমেদ দিশানও তাকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছিলেন। এই দুজনের ১০৬ রানের জুটি ভাঙেন ফাহিম হাসান। ৯৪ বলে ৪৩ রান করা দিশানকে ফেরান তিনি।
দলীয় ১৯২ রানের মধ্যে নাসুম আহমেদের উইকেট হারায় সিলেট। পাঁচ নম্বরে প্রোমোশন পাওয়া এই ব্যাটার আরিফ আহমেদের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে ২৪ বলে ১১ রান করেন। এরপর আসাদুল্লাহ আল গালিবের সঙ্গে ৭০ রানের জুটি গড়েন অমিত।
এই জুটি গড়ার পথেই কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরি তুলে নেন অমিত। তবে সেঞ্চুরির পর বেশীক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। ২০৪ বলে ১৩টি চারে ১০১ রান করে আরিফের বলে বোল্ড হন এই অধিনায়ক। দলকে তিনশ রান পার করিয়ে ফিরে যান গালিবও।
১০৮ বলে ৫৬ রান করে আবু হায়দার রনির বলে ফিরে যান তিনি। তারপর তোফায়েল আহমেদের নৈপুণ্যে সাড়ে তিনশ রানের গণ্ডি পার করে সিলেট। ৩৪ বলে একটি চার ও ছয়টি ছক্কায় অপরাজিত ৪৭ রান করেন তোফায়েল।
ঢাকার হয়ে ৭৭ রান খরচায় চার উইকেট নেন আরিফ। ১০৩ রান খরচায় তিনটি উইকেট নেন রনি। দুটি উইকেট নেন ফাহিম। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে একেবারেই সুবিধা করতে পারেনি মেট্রোর ব্যাটাররা। প্রথম ইনিংসে ১৩০ রান করা দলটি এই ইনিংসেও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে।
পঞ্চম ওভারে মাহফিজুল ইসলাম রবিনকে (৭) ফিরিয়ে মেট্রোর বিপর্যয়ের সূত্রপাত ঘটান খালেদ। নিজের পরের ওভারে ৭ রান করা নাইম শেখকেও ফেরান খালেদ। তার বল মেট্রো অধিনায়কের ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটের পেছনে চলে যায়।
খালেদের মতো পরপর দুই ওভারে উইকেট নেন রাজাও। ১৩ বলে তিন রান করা তাহজিবুল ইসামকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলার পরের ওভারে আইচ মোল্লাকেও (৬) বিদায় করেন রাজা। মেট্রোর হয়ে তৃতীয় দিন শুরু করবেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব (১৩*) এবং মার্শাল আইয়ুব (৭*)।