এনসিএল

দিপুর সেঞ্চুরি, ইয়াসিরের ৯৯, আশরাফুলের ৬ উইকেটে জিতল চট্টগ্রাম

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 17:23 সোমবার, 11 নভেম্বর, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বরিশাল বিভাগকে আট উইকেটে হারিয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ। জাতীয় ক্রিকেট লিগের এই ম্যাচে শাহাদাত হোসেন দিপুর সেঞ্চুরি এবং ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বির ৯৯ রানে প্রথম ইনিংসে ৩১৩ রানে অলআউট হয় চট্টগ্রাম। পরে আশরাফুল হাসানের ঘূর্ণির সামনে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৭৭ রানে অলআউট হয় বরিশাল। প্রথম ইনিংসে ৩১৮ রান তোলা দলটিকে হারাতে তেমন কোনো অসুবিধায় পড়তে হয়নি চট্টগ্রামকে।

প্রথম ইনিংসে তিন উইকেটে ২০২ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে চট্টগ্রাম। দিনের শুরুটা সুখকর ছিল না দলটির জন্য। এক রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন ইয়াসির। তানভির ইসলামের বলে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ইয়াসির।

তারপর ৩৯ রানের জুটি গড়েন দিপু এবং শামিম। এই জুটি ভাঙেন সোহাগ গাজী। সোহাগের বলে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ৩৮ বলে ২১ রান করা শামিম। ২৮৭ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারানো দলটি অলআউট হয় ৩১৩ রানে।

কেবল দিপুর ইনিংসটিই ছিল উল্লেখ করার মতো। তানভিরের বলে ফেরার আগে ২৪৯ বলে ১১৬ রান করেন চট্টগ্রামের অধিনায়ক। বরিশালের হয়ে অধিনায়ক তানভির নেন চারটি উইকেট। তিনটি উইকেট নেন রুয়েল মিয়া। এ ছাড়া দুটি উইকেট সোহাগের।

পাঁচ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে বরিশাল। যদিও এই ইনিংসে ভয়ঙ্কর ভরাডুবি হয় দলটির। কেবল দুজন ব্যাটারই এই ইনিংসে দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পেরেছেন। তারা হলেন ফাজলে মাহমুদ রাব্বি (৩৩) এবং ইফতেখার হোসেন ইফতি (১২)।

মাত্র ২২ রান খরচায় এ দিন বরিশালের ছয় ব্যাটারকে প্যাভিলিয়নে ফেরান আশরাফুল। এ ছাড়া ১৫ রান খরচায় তিন উইকেট নেন নাঈম হাসান। তিনজনকেই লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন তিনি। এনামুল হক আশিক নেন এক উইকেট।

জাতীয় লিগের চতুর্থ রাউন্ডের এই ম্যাচে ৮৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দুই ওভারে দুই উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। সাদ্দাম হোসেনকে শূন্য রানে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন তানভির। দ্বিতীয় ওভারে সোহাগ ফেরান এক রান করা সাজ্জাদুল ইসলাম রিপনকে।

উইকেটের পতন ঠেকাতে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামেন নাঈম। তবে পারভেজ হোসেন ইমনের সঙ্গে ৭৯ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তিনি। মূল প্রচেষ্টা ছিল ইমনের। ৩০ বলে একটি চার ও পাঁচটি ছক্কায় ৪৬ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। নাঈম করেন ৩১ বলে ৩০ রান।