ভারত - বাংলাদেশ সিরিজ

দেখে মনে হচ্ছিল আমাদের কোন পরিকল্পনা ছিল না: শান্ত

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 23:15 রবিবার, 06 অক্টোবর, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে ভারত সিরিজে ক্রিকেটারদের মাঝে অন্য এক অ্যাপ্রোচ দেখার কথা বলেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সিরিজ শুরুর আগে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলার ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। ভারতের বিপক্ষে গোয়ালিয়রে হওয়া প্রথম টি-টোয়েন্টির শুরুতে সেটার একটা আভাস মিলেছে বলাই যায়। আর্শদীপ সিংয়ের বলে প্রথম স্লিপ এবং থার্ডম্যানের মাঝ দিয়ে চার মারার পরের বলেও বাউন্ডারির চেষ্টা করলেন লিটন দাস।

পরের ওভারে হার্দিক পান্ডিয়াকে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগের উপর দিয়ে ছক্কা মেরে নিজেদের ইন্টেন্ট দেখালেন পারভেজ হোসেন ইমন। তবে নতুন অ্যাপ্রোচেও পুরনো বাংলাদেশের ছায়াকে সরানো যায়নি একদমই। একটা কিংবা দুটো বাউন্ডারি মারার পরই ড্রেসিং রুমের পথ ধরেছেন ব্যাটাররা। লিটন, ইমনের মতো জাকের আলী অনিক, রিশাদ হোসেনরাও হেঁটেছেন একই পথে।

আগ্রাসী ক্রিকেটের কথা বললেও পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তুলতে পেরেছে ৩৯ রান। ম্যাচ শেষে তাই প্রথম ৬ ওভারে ভালো শুরু করতে না পারার আক্ষেপ করেছেন শান্ত। পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা ভালো শুরু করতে পারিনি। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ৬ ওভার খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু আমরা শুরুটা ভালো করতে পারিনি।’

দ্রুতই দুই ওপেনারকে হারানোর পর চাপের মুখে উইকেট দিয়ে গেছেন তাওহীদ হৃদয়। পাঁচে নেমে শান্তর সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে বিপদ থেকে টেনে তোলা ছাড়া বিকল্প কিছু ছিল না মাহমুদউল্লাহর হাতে। অথচ ব্যাটিংয়ে এসে নিজের দ্বিতীয় বলেই মায়াঙ্ক যাদবকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে উইকেট দিয়ে গেছেন। অভিজ্ঞ ব্যাটারের বিদায়ে আরও বিপদে পড়েছেন বাংলাদেশ।

শান্তর কাছে পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা ছিল ইতিবাচক এবং প্রথম বল থেকেই ইন্টেন্ট নিয়ে খেলা। আমার কিভাবে খেলতে চাই সেটার জন্য আমাদের কয়েক ওভার দেখে খেলা প্রয়োজন ছিল। দেখে মনে হচ্ছিল আমাদের কোন পরিকল্পনাই ছিল না। কিন্তু পরের ম্যাচে আরও ভালো পরিকল্পনা প্রয়োজন।’

বাংলাদেশের অধিনায়ক আরও মনে করিয়ে দিয়েছেন টি-টোয়েন্টি শুধু চার-ছক্কা মারার খেলা নয়। শান্ত বলেন, ‘আমাদের স্ট্রাইক রোটেটে আরও বেশি মনোযোগী হতে হবে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট শুধু মারকাটারি ব্যাটিং নয়। হাতে যদি কয়েকটা উইকেট থাকত তাহলে আমরা আরও কিছু রান যোগ করতে পারতাম।’

অধিনায়কের ২৭ এবং মেহেদী হাসান মিরাজের অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংসে শেষ পর্যন্ত ১২৭ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। হার্দিক পান্ডিয়া, সূর্যুকুমার যাদব এবং সাঞ্জু স্যামসনের ব্যাটে ভারত সেই লক্ষ্য পেরিয়ে গেছে ৪৯ বল বাকি থাকতেই। এমন ব্যাটিং উইকেটে এত ছোট লক্ষ্য ডিফেন্ড করা কঠিন ছিল বলে জানান শান্ত। সেই সঙ্গে রিশাদ ও মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিংয়ের প্রশংসা করেছেন তিনি।

বেশি রান করতে না পারার আক্ষেপে পুড়ে বোলারদের নিয়ে শান্ত বলেন, ‘আমরা খুব বেশি রান করতে পারিনি। এমন উইকেটে বোলারদের জন্য কাজটা কঠিন। আমাদের আরও বেশি রান প্রয়োজন ছিল। আমার মনে হয় রিশাদ এবং ফিজ (মুস্তাফিজুর রহমান) কিছু ভালো ওভার করেছে।’