সিপিএল

‘আমরা ডাকাতির শিকার হয়েছি’, এলিমিনেটরে হেরে বলছেন রাসেল

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 14:05 বৃহস্পতিবার, 03 অক্টোবর, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

ঝড়, বৃষ্টি কিংবা বাজে আবহাওয়া নয়, নয় কোন ধরণের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ। তবুও আলোকসল্পতার কারণে ম্যাচ বন্ধ থাকলো দুই ঘন্টারও বেশি সময়। যা সহজে মেনে নেননি আন্দ্রে রাসেল। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) এলিমিনেটর ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স হেরে যাওয়ার কারণেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাসেল। তার দাবি, বার্বাডোজ রয়্যালসের বিপক্ষে রীতিমতো 'ডাকাতি' করেই হারিয়ে দেয়া হয় তাদের।

ক্যারিবিয়ান দ্বীপুঞ্জের গায়ানায় প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বুধবার সকালে এলিমিনেটর পর্বে মুখোমুখি হয় কাইরন পোলার্ডের ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স এবং রভমান পাওয়েলের দল বার্বাডোজ রয়্যালস।

ম্যাচের প্রথম ইনিংসের ১৯ ওভার ১ বলে ত্রিনবাগো সংগ্রহ করে ১৬৮ রান। তারপরেই শুরু হয় মাঠের ফ্লাডলাইটের সমস্যা। এক সময় বন্ধ হয়ে যায় তিনটি টাওয়ারের লাইট। বাধ্য হয়েই খেলা বন্ধ করেন আম্পায়াররা। আর এতেই ক্ষেপে যান ত্রিনবাগোর অলরাউন্ডার রাসেল।

খেলা যখন বন্ধ করা হয় তখন মাঠে ব্যাটিংয়ে ছিলেন ৬০ বলে ৯১ করা নিকোলার পুরান। রাসেল নিজেও ওভারের প্রথম বলে হাঁকিয়েছিলেন ছক্কা। এমন অবস্থায় খেলা বন্ধ হওয়া মানতে পারেননি তিনি। ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করে এই অলরাউন্ডার ক্ষোভ ঝাড়েন।

কেননা লম্বা বিলম্বের পর শুরু হওয়া ম্যাচে যেই সমীকরণ দাঁড়ায়, তাতে কোন রকমের পাত্তাই পায়নি সিপিএলের বর্তমান শিরোপাজয়ীরা। এলিমিনেটর পর্ব থেকে দলটি বাদ পড়ে ৯ উইকেটে (বৃষ্টি আইন) ম্যাচ হেরে।

রাসেল বলেন, ‘আমি এমন লোক নই যে ইন্টারনেটে এসে গলা ফাটাব। তবে এই বছর সিপিএলে আমার মনে হচ্ছে, আমরা ডাকাতির শিকার হয়েছি। লাইট পরিস্থিতি ছিল ডাকাতি, খেলা শুরুর শেষ সময়ের ঠিক আগে লাইট ফেরা ছিল ডাকাতি এবং এরপর ৩০ বলে ৬০ রান ছিল আরও বড় ডাকাতি।’

বৃষ্টি আইনে বার্বাডোজ রয়্যালসের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫ ওভারে ৬০ রানের। কিন্তু সেই লক্ষ্যে মাত্র এক উইকেট হারিয়েই পৌছে যায় ডেভিড মিলার, কুইন্টন ডি ককরা। ম্যাচটি তারা জিতে যায় ৪ বল বাকি থাকতেই।