বাংলাদেশ ক্রিকেট

রিশাদের উন্নতিতে শুধুমাত্র মুশতাককে কৃতিত্ব দিতে নারাজ শান্ত

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 14:41 মঙ্গলবার, 16 জুলাই, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

বাংলাদেশের ক্রিকেটে রিশাদ হোসেনের সাম্প্রতিক সাফল্যের পেছনে বড় কৃতিত্ব দেয়া হয় পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার মুশতাক আহমেদকে। গত এপ্রিলে জাতীয় দলের স্পিন বোলিং বিশেষজ্ঞ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া মুশতাক বিশ্বকাপ পর্যন্ত এই দায়িত্ব সামলেছেন। যদিও রিশাদের উত্থানের পেছনে মুশতাকের চাইতে দেশীয় কোচদের ভূমিকা বেশি বলে মনে করেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

রিশাদের পারফরম্যান্সে খুশি হয়ে বিসিবি মুশতাকের সঙ্গে চুক্তি বাড়াতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত সেটা সম্ভব হয়নি। এরইমধ্যে ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছেন এই পাকিস্তানি। শ্রীলঙ্কায় চারদিনের ম্যাচে ইংলিশ যুবাদের স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মুশতাক।

তবে বিসিবির পরিকল্পনা ভবিষ্যতে মুশতাককে লম্বা সময়ের জন্য স্পিনারদের দায়িত্ব দেয়ার। যদিও মুশতাকের সঙ্গে বিসিবির চুক্তি নিয়ে ভাবনা নেই শান্তর। রিশাদের উন্নতির পেছনে দেশীয় স্পিন বোলিং কোচ সোহেল ইসলামসহ অন্যদের মূল্যায়ন করেন তিনি।

বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক বলেন, 'উনি (মুশতাক) খুবই ভালো কাজ করেছেন। জানি না বোর্ডের সাথে কী ধরনের চুক্তি ছিল। সম্ভবত বিশ্বকাপ পর্যন্তই ছিল আমি যতটুকু জানি। তবে দারুণ কাজ করেছেন। রিশাদ খুবই কম্ফরটেবল ছিল, বাকি স্পিনাররাও ছিল। কিন্তু আমি শুধুমাত্র মুশতাক আহমেদ- ওনাকেই কৃতিত্ব দিতে চাই না। রিশাদ কিন্তু আরও আগে থেকেই আমাদের স্থানীয় কোচিং স্টাফদের কাছ থেকে কোচিং নিচ্ছিলো। মুশতাক আহমেদ, ওনার যে অভিজ্ঞতা অনেক বছর খেলার, উনি বিশ্বকাপ জিতেছেন, বিশ্বকাপজয়ী দলের কোচ ছিলেন, যে অভিজ্ঞতাগুলো রিশাদের সাথে শেয়ার করেছেন।'

'ট্যাকটিকালি কিছু বিষয় রিশাদের সাথে শেয়ার করেছেন, যেটা ওর খুব উপকারে এসেছে। তবে স্থানীয় কোচদের অনেক বড় একটা ভূমিকা ছিল। তাকে প্রেরণা যোগানো, তার কোথায় কোথায় ঘাটতি সেটা ধরিয়ে দেয়া, সেখানে সোহেল ইসলাম ছিলেন, আরও কিছু স্পিন বোলিং কোচ ছিলেন, তারা রিশাদের সঙ্গে কাজ করেছেন তাই কৃতিত্বটা স্থানীয় কোচ ও ওনার কাছে সমানভাবেই যায়।'

গেল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অনবদ্য বোলিং করেন রিশাদ। সবমিলিয়ে ৭ ম্যাচে ২৫ ওভার বোলিং করে ২১ বছর বয়সী এই স্পিন অলরাউন্ডার ৭.৭৬ ইকোনমি রেটে ১৪ উইকেট শিকার করেন। এটা কোনো বাংলাদেশি বোলার হিসেবে বিশ্বকাপের এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেটের কীর্তি।

তবে এখনই রিশাদকে টেস্ট দলের জন্য প্রস্তুত মনে করেন না শান্ত, 'এই ব্যাপারে নির্বাচকরাই ভালো বলতে পারবেন। তবে আমার অভিজ্ঞতা যতটুকু বলে, আমার মনে হয় না এই মুহূর্তে ও লাল বলের ক্রিকেটের জন্য প্রস্তুত।'