টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

৬ মাসে আমার সঙ্গে অনেক কিছু হয়েছে, কথা বলিনি, চুপ ছিলাম: হার্দিক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
Publish Date: 12:42 Sunday, June 30, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

দেড় যুগের অপেক্ষা। একের পর এক ফাইনালে হার। কত শত হতাশার গল্প। সব যেন মিলিয়ে গেল এক নিমিশে বার্বাডোসে। হার্দিক পান্ডিয়া-বিরাট কোহলিদের মুখে ছিল আত্মতৃপ্তির কান্না। বিশেষ করে হার্দিকের জন্য এই উপলক্ষ্যটা যেন ছিল হতাশা কাটিয়ে আলোর পথ খুঁজে পাওয়ার মতো।

কারণ গত কয়েক মাস কোটি কোটি মানুষের দুয়ো শুনেছেন ভারতের এই অলরাউন্ডার। খুবই অনাকাঙ্খিত এক ইনজুরির কারণে ২০২৩ বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন তিনি। ফেরার লড়াইটাও সহজ ছিল না। আইপিএলের আগমুহূর্তে গুজরাট টাইটান্স থেকে নাম লিখিয়েছিলেন পুরোনো দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে।

সেখানে গিয়েই যেন 'শত্রু' বনে যান হার্দিক। ম্যাচের পর ম্যাচে দুয়ো শুনতে শুনতে চাপে পড়ায় ব্যাটে-বলে ছিলেন না সেরা ফর্মে। দল হিসেবে পারফর্ম করতে পারছিল না মুম্বাই। টুর্নামেন্ট শেষ করেছিল পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থেকে। এই ব্যর্থতার সব দায় মাথায় নিতে হয়েছিল হার্দিককে।

সব হতাশাই যেন চেপে ধরে ছিল তাকে। অনেকেই তাকে বিশ্বকাপ দল থেকেও বাদ দিতে বলেছিলেন হার্দিককে। তবে ঠিকই তার ওপর ভরসা রাখে ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট। বিশ্বকাপে সেই ভরসার প্রতিদানই দিয়েছেন হার্দিক। ৮ ম্যাচে ১১ উইকেটের পাশাপাশি ৬ ইনিংসে ১৪৪ রান আসে তার ব্যাটে।

ফাইনাল ম্যাচেও নিজেকে নিঙরে দিয়েছেন হার্দিক। শেষ ওভারে জিততে ডিফেন্ড করতে হতো ১৬ রান। উইকেটে তখনও ডেভিড মিলারের মতো ব্যাটার। সঙ্গে কেশভ মহারাজ। এমন সময়ই অধিনায়ক রোহিত শর্মা বল তুলে দেন হার্দিকের হাতে। প্রথম বলেই নেন মিলারের উইকেট। চার বল পরে নেন কাগিসো রাবাদার উইকেটও।

ততক্ষণে ভারতের জয় নিশ্চিত হয়ে গেছে। অনেকেই ভেবেছিলেন হার্দিকের উদযাপন হবে হয়তো বাধনছাড়া। তবে না তিনি মাটিতে বসে পড়লেন। তার মাথায় কি ঘুরছিল এক সাক্ষাৎকারে সেটা জানিয়েছেন হার্দিক।

তিনি বলেন, ‘খুব আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি। অনেক পরিশ্রম করেছি। কিন্তু সাফল্য পাচ্ছিলাম না। আমার কাছে এটি আরও বিশেষ মুহূর্ত। গত ছয় মাসে আমার সঙ্গে অনেক কিছু হয়েছে। কোনো কথা বলিনি, চুপ ছিলাম। জানতাম— যদি পরিশ্রম করে যাই তা হলে একদিন এর জবাব দিতে পারব। সে সুযোগ আমি পাব। একদিন এই দিনটি আসবে।'

শেষ ওভারে এভাবে ভারতকে ম্যাচ জেতাবেন সেটাও কখনও ভাবতে পারেননি হার্দিক। হার্দিক যেভাবে ফিরে এসেছেন তা যে কোনো ক্রিকেটারের জন্যই অনুপ্রেরণা হয়ে রইবে। আজীবন লেখা থাকবে চ্যাম্পিয়নরা এভাবেই ফিরে আসে।