|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সিরিজ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়াকে দারুণ সূচনা এনে দেন ট্রাভিস হেড। তার ব্যাটে করেই পাওয়ার প্লেতে এক উইকেট হারিয়ে ৭৪ রান তোলে দলটি। এরপর দলের কেউ ইনিংস বড় করতে পারেনি। তবে মিডল অর্ডারের ছোটো ছোটো ইনিংস ও নিউজিল্যান্ডের দেয়া অতিরিক্ত ২৩ রানে ১৭৪ রানের সংগ্রহ পায় দলটি। জবাবে অ্যাডাম জাম্পা, নাথান এলিসের বোলিং তোপে ১০২ রানেই গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। ফলে ৭২ রানের জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে অজিরা।
অকল্যান্ডে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে সুবিধা নিতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। ম্যাচে প্রথম ওভারেই ১৬ রান তোলেন অজি ওপেনার হেড। সঙ্গে অতিরিক্ত চার রান পায় তারা। পরের ওভারে স্মিথের কল্যাণে দুই ওভারেই ৩২ রান তোলে অজিরা। অবশ্য পরের ওভারেই লকি ফার্গুসন ফেরান ১১ রান করা স্মিথকে। এরপর অধিনায়ক মিচেল মার্শকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন হেড।
তাদের জুটি থেকে মাত্র ২৭ বলেই আসে ৫৩ রান। কিন্তু ৪৫ রান করা হেড ফিরেছেন হাফসেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে। বেন সিয়ার্সের ১৪৩ কিলোমিটার বেগে আসা বল হেডের ব্যাটে লেগে স্টাম্পে আঘাত করলে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর ৬ রান করা গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকেও ফেরেন সিয়ার্স। মার্শও ফেরেন পরের ওভারেই। ২৬ রান করা এই অলরাউন্ডার মিচেল সান্টনারের শিকার হন।
এরপর টিম ডেভিড ১৭, প্যাট কামিন্স ২৮ ও এলিসের ১১ রান ছাড়া আর কেউ দুই সংখ্যার ঘরে পৌছাতে পারেননি। ফলে একবল হাতে রেখেই ১৭৪ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। কিউইদের হয়ে ফার্গুসন নিয়েছেন সর্বোচ্চ চার উইকেট। অ্যাডাম মিলনে, সিয়ার্স, স্যান্টনার নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরে স্বাগতিকরা। মাত্র ২৯ রান তুলতেই টপ অর্ডারের ৪ উইকেট হারিয়ে বসে দলটি। ফিল অ্যালেন ৬, উইল ইয়াং ৫ ও অধিনায়ক সান্টনার ফেরেন মাত্র ৭ রান করেই। এরপর মার্ক চ্যাপম্যানও ফেরেন মাত্র ২ রান করে। এরপর ম্যাচের হাল ধরার চেষ্টা করেন গ্লেন ফিলিপস ও জশ ক্লার্কসন।
তাদের ৪৫ রানের জুটি ভাঙেন জাম্পা। সেই ওভারে জোড়া আঘাত হানেন এই স্পিনার। প্রথমে ১০ রান করা ক্লার্কসনকে বোল্ড করেন এই স্পিনার। পরের বলেই মিলনেকে বোল্ড করেন। ফলে ৭৪ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে কিউইরা। এরপর ৪২ রান করা ফিলিপসকে শিকার করেন জাম্পা। তার ব্যাক অফ লেংথ ডেলিভারিতে ডেভিডের কাছে ক্যাচ তুলে দেন ফিলিপস।
এরপর আর কেউ দলের হাল ধরতে পারেননি। ফলে ৩ ওভার হাতে রেখেই ১০২ রানে গুটিয়ে যায় দলটি। অজিদের হয়ে জাম্পা চারটি, এলিস দুটি ও জশ হ্যাজলউড, কামিন্স, মার্শ নিয়েছেন একটি করে উইকেট। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো মার্শের দল।