|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
লক্ষ্য ছিল ১০৫ রান, হাতে ছিল দশ উইকেট। জয়টা ছিল প্রত্যাশিতই। তবে সেই জয় পেতে খানিকটা দেরি করতে হয়েছে সিলেট বিভাগকে। শেষ পর্যন্ত অমিত হাসানের অপরাজিত ইনিংস এবং নাসুম আহমেদের ব্যাটে বরিশাল বিভাগকে পাঁচ উইকেটে হারিয়েছে দলটি। আর তাতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপার দেখা পেয়েছে সিলেট বিভাগ।
আগের দিনই বরিশালকে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪২ রানের অলআউট করে ম্যাচ জিততে ১০৫ রানের লক্ষ্য পায় সিলেট। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শেষদিনের সকালে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৭ রানের মধ্যেই দুই উইকেট হারায় সিলেট। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চাপেই হয়ত ওপেনার তৌফিক খান ও ওয়ানডাউনে নামা মুবিন আহমেদ কোনো রানই করতে পারেননি।
আরেক ওপেনার পিনাক ঘোষও ফেরেন ব্যক্তিগত ১৮ রানে। ইনফর্ম এই ওপেনারের বিদায়ে মাত্র ২৭ রান তুলতেই তৃতীয় উইকেট হারায় সিলেট। সেখান থেকে নাসুম আহমেদকে নিয়ে ৭৭ রানের জুটি গড়ে দলের রানটাকে ১০৪-এ নিয়ে যান অধিনায়ক অমিত হাসান।
বিস্ময়করভাবে তখন আরও দুটি উইকেট হারায় সিলেট। অথচ লাগত মাত্র এক রান। তিন বলের ব্যবধানে ফিরে যান নাসুম। তার ব্যাটে আসে ৫২ বলে ৪৪ রানের ইনিংস। আসাদুল্লাহ আল গালিবও ডাক মারেন।
পরের ওভারে এক রান নিয়ে সিলেটকে চ্যাম্পিয়ন বানান আসর জুড়ে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা অমিত। তিনি অপরাজিত ছিলেন ৩৮ রানে। ষষ্ঠ ম্যাচে এ নিয়ে তৃতীয় জয় পেল সিলেট। দলটির পয়েন্ট ৩৭। এখন পর্যন্ত সিলেটের কাছে থাকা ঢাকা বিভাগের পয়েন্ট ২৪, খুলনা বিভাগের ২২।
সিলেটকে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষায় রাখতে পারত রংপুর বিভাগ। কক্সবাজারে ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারেনি দলটি, নিশ্চিত ড্র'য়ের পথে যাচ্ছে সেই ম্যাচ। রংপুর মেট্রোকে হারাতে পারলেই আর একটি ম্যাচ অপেক্ষা করতে হতো সিলেটকে।
জাতীয় ক্রিকেট লিগে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সাতবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে খুলনা। যৌথভাবে তাদের পাশে নাম আছে ঢাকা বিভাগের। রাজশাহীও শিরোপা পেয়েছে ছয়বার। রংপুর জিতেছে দু'বার। সিলেটের আগে একটি করে শিরোপা জিতেছিল চট্টগ্রাম ও বিমান।