বাংলাদেশ ক্রিকেট

বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসের সেরা ১০ পারফরম্যান্স

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 17:52 রবিবার, 10 নভেম্বর, 2019

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

টেস্ট ক্রিকেটে ১৯ বছর পার করেছে বাংলাদেশ। দীর্ঘ এই পথচলায় দলের জন্য বল এবং ব্যাট হাতে অবদান রাখার চেষ্টা করেছেন বাংলাদেশের হয়ে খেলা সব ক্রিকেটার। তবে এর মাঝে সেরা পারফর্ম করেছেন কয়েকজনই। গত ১৯ বছরে বাংলাদেশের সেরা দশটি পারফরম্যান্স পাঠকদের জন্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছে ক্রিকফ্রেঞ্জি।

মুশফিকুর রহিমের অপরাজিত ২১৯ রানঃ গত বছরের নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে নিজের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসটি খেলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। তাঁর খেলা অপরাজিত ২১৯ রানের ইনিংস বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুশফিকের সেই ইনিংসে ২১৮ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।

তাইজুল ইসলামের ৮ উইকেটঃ বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি তাইজুল ইসলাম ইসলাম। ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের তৃতীয় ইনিংসে ১৬.৫ ওভার বল করে ৩৯ রানে ৮ উইকেট নেন বাঁহাতি এই স্পিনার। তাঁর বিধ্বংসী বোলিংয়ের পর ব্যাটসম্যানদের অবদানে ৩ উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ।

সাকিব আল হাসানের ২১৭ রানঃ ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের ঘরের মাঠে ২১৭ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলেন সাকিব আল হাসান। তাঁর ইনিংসটি বাংলাদেশকে ম্যাচ জেতাতে সাহায্য না করলেও এটি ছিল টেস্টে সাকিবের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। শুধু তাই নয় বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস এটি।

সাকিব আল হাসানের ৭ উইকেটঃ প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডকে স্বল্প রানেই গুঁটিয়ে দিয়েছিলেন সাকিব। ২০০৮ সালের এই ম্যাচে যদিও শেষ পর্যন্ত জয় পায়নি বাংলাদেশ। কিন্তু সাকিবের এই বোলিং ফিগার বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে সেরা বোলিং পারফরম্যান্সে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এই ইনিংসে ২৫.৫ ওভার বোলিং করে ৩৬ রান দিয়েছিলেন বাঁহাতি এই স্পিনার।

তামিম ইকবালের ২০৬ রানঃ ২০১৫ সালে খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত একটি ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকান বাঁহাতি ওপেনার তামিম ইকবাল। তাঁর ২০৬ রানের ইনিংসটি পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি ড্র করার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছিল। বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে তামিমের এই ইনিংসটি সেরা ব্যাটিং পারফরম্যান্সে তৃতীয় অবস্থানে আছে।

মেহেদী হাসান মিরাজের ৭ উইকেটঃ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই ম্যাচে টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে ১৬ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৫৮ রান ৭ উইকেট নেন অফ স্পিনার মিরাজ। পরের ইনিংসে আবারো ৫ উইকেট নেন তিনি। যার সুবাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ইনিংসে এবং ১৮৪ রানে হারায় বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে করা মিরাজের ৭ উইকেটের বোলিং ফিগারটি দেশের সেরা বোলিং পারফরম্যান্সের একটি।

মুশফিকুর রহিমের ২০০ রানঃ ২০১৩ সালে গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিকুর রহিম। টেস্ট ইতিহাসে যা ছিল বাংলাদেশ দলের কোনো ব্যাটসম্যানের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। মুশফিকের ২০০ রানের সেই ইনিংসে ভর করে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটি ড্র করে বাংলাদেশ।

এনামুল হক জুনিয়রের ৭ উইকেটঃ ২০০৫ সালে বাংলাদেশের হয়ে প্রথমবারের মতো এক টেস্টে ১২ উইকেট নেয়ার মর্যাদা অর্জন করেন এনামুল হক জুনিয়র। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৯৫ রানের বিনিময়ে ৭ উইকেট পান এনামুল, দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৫ রানে ৫ উইকেট নেন এই স্পিনার। তাঁর ৭ উইকেট বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসের সেরা বোলিং ফিগারে চতুর্থ স্থানে আছে।

মোহাম্মদ আশরাফুলের ১৯০ রানঃ ২০১৩ সালে নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাঁর ১৯০ রানের ইনিংসটি বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসের পঞ্চম সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান। টেস্টে সেরা পারফরম্যান্সের একটি।

শাহাদাত হোসেনের ৬ উইকেটঃ ঢাকায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্র ২৭ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন পেসার শাহাদাত হোসেন রাজিব। ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে আগুনে বোলিং করে প্রোটিয়াদের ব্যাটিং লাইন আপ ধংস করে দেন তিনি। যদিও ম্যাচটি হেরেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু তাঁর এই বোলিং ফিগার বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসের সেরা বোলিং পারফরম্যান্সে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।