ডিপিএল

মারুফের দুর্দান্ত শতকে রূপগঞ্জের জয়ের হ্যাট্রিক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 18:04 সোমবার, 25 মার্চ, 2019

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

মেহেদি মারুফের দুর্দান্ত শতকে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতিকে পাঁচ উইকেটে হারিয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। ওপেনার মারুফের ১৩৪ বলে ১০৮ রানের ইনিংসটি রূপগঞ্জকে এনে দেয় টানা তৃতীয় জয়। আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ইসলামের ৭২ রানের ইনিংসটিও দলের জয়ে রেখেছিল বড় অবদান। জয়ের ধারায় থাকা দলটি বর্তমানে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে।

খেলাঘরের দেয়া ২৬৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই রান তোলায় ব্যস্ত থাকেন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম। প্রায় শতক স্ট্রাইক রেটে তিনি তুলে নিয়েছিলেন লিস্ট 'এ' ক্রিকেটের ষষ্ঠ অর্ধশতক। কিন্তু এক প্রান্ত ধরে রেখে ঠাণ্ডা মাথায় খেলে গেছেন মারুফ। তাঁদের দুইজনের উদ্বোধনী জুটি দলকে গড়ে দিয়েছিল শক্ত ভিত। দলীয় ১১৮ রানের সময় সাজঘরে ফিরে যান নাঈম, তখন তাঁর রান ৭৩ বলে ৭২।

নাঈমের বিদায়ের পর অর্ধশতক তুলে নেন মারুফ। সাথে ছিলেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান মমিনুল। দলের লক্ষ্যকে নাগালে এনে দেয়ার দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে থাকেন মমিনুল। কিন্তু ২৭ বলে ২৬ রান করে ফিরে যান গত ম্যাচে অর্ধশতক হাঁকানো এই ব্যাটসম্যান। এরপর মাত্র ৮ রান করতেই ফিরে গিয়েছিলেন শাহরিয়ার নাফিসও। তবে ব্যাট হাতে প্রতিপক্ষের মাথা ব্যথার কারণ ছিলেন মারুফ।

অধিনায়ক নাঈম ইসলামের সাথে ছোট জুটি গড়তেই ফিরে যেতে হয় তাঁকে। লিস্ট 'এ' ক্রিকেটের ষষ্ঠ শতক তুলে নিয়ে সাজঘরে ফেরান মারুফ। যদিও তখন জয়ের প্রায় কিনারেই ছিল রূপগঞ্জ। কিন্তু উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জাকের আলির বিদায়ে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল রূপগঞ্জ। তবে অধিনায়ক নাঈম ইসলাম দলকে এনে দেন শেষ হাসি। ২৫ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন তিনি। তাঁর সাথে অপরাজিত ছিলেন রিশি ধাওয়ানও। তবে তিনি রানের খাতা খোলার আগেই দল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।

খেলাঘরের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন মইনুল ইসলাম। তিনি একাই তুলে নিয়েছিলেন রূপগঞ্জের তিনটি উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছিলেন মাসুম খান এবং রবিউল হক। 

এদিন বিকেএসপিতে টসে পরাজিত হয়ে আগে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পায় খেলাঘর। রবিউল ইসলাম, মাহিদুল ইসলাম অংকন এবং অশোক মেনারিয়ার অসাধারণ ব্যাটিংয়ে লড়াই করার পুঁজিও পেয়েছিল দলটি। এই তিন ব্যাটসম্যানই তুলে নিয়েছেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক। খেলাঘরের বিদেশি ক্রিকেটার ভারতের অশোক মেনারিয়া ৮৭ রানে ছিলেন অপরাজিত। মাহিদুল ইসলাম অংকন খেলেছিলেন ৭৭ রানের অনবদ্য ইনিংস। নির্ধারিত ৫০ ওভার ব্যাটিং করে ২৬৪ রান সংগ্রহ করেছিল খেলাঘর।

ইনিংসের ১২তম ওভারে দলীয় ৪৭ রানেই ওপেনার সাদিকুর রহমানকে হারায় খেলাঘর। ১৯ রান করে রিশি ধাওয়ানের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এরপর অংকনের সাথে ছোট জুটি গড়তেই লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সপ্তম অর্ধশতক হাঁকিয়ে ৫৩ রানে মুক্তার আলির বলে মেহেদি হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রবিউল।

৮৫ রানে দুই উইকেট হারানোর পর দলকে শক্ত ভিত দেন অংকন এবং মেনারিয়া। তাঁদের দুইজনের শতক ছাড়ানো জুটিতে দলীয় দুইশ রান অতিক্রম করে খেলাঘর। এর মাঝে অংকন তুলে নেন লিস্ট 'এ' ক্রিকেটের সপ্তম অর্ধশতক। দলীয় ২১৬ রানে ৯৯ বলে ৭৭ রান করা অংকন সাজঘরের পথ ধরেন শুভাশিষ রয়ের বলে। কিন্তু অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন মেনারিয়া। তাঁর সাথে ৮ বলে ১৩ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন মইনুল ইসলাম।

রূপগঞ্জের হয়ে মুক্তার আলি, রিশি ধাওয়ান এবং শুভাশিষ রয় একটি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

খেলাঘরঃ ২৬৪/৩, ওভার- ৫০

অশোক মেনারিয়া ৮৭*, মাহিদুল ইসলাম অংকন ৭৭; মুক্তার আলি ১/৪২, রিশি ধাওয়ান ১/৬৫

রূপগঞ্জঃ ২৬৮/৫, ওভার- ৪৯.৩

মেহেদি মারুফ ১০৮, মোহাম্মদ নাঈম ৭২; মইনুল ইসলাম ৩/৪২, মাসুম খান ১/৪২