বাংলাদেশ - সংযুক্ত আরব আমিরাত সিরিজ

দেবাশীষের ৪ রানে ৪ উইকেট, বাংলাদেশের হ্যাটট্রিক জয়

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 17:50 শুক্রবার, 01 নভেম্বর, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

স্পিন জাদুতে মাত্র ৪ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে গুঁড়িয়ে দিলেন দেবাশীষ সরকার। ডানহাতি লেগ স্পিনারের সঙ্গে একটি করে উইকেট নিয়ে অবদান রেখেছেন বাকিরাও। সহজ লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশের টপ অর্ডারদের জন্য কাজটা সহজই ছিল। জাওয়াদ আবরার ও কালাম সিদ্দিকী এলিনের উদ্বোধনী জুটি সেটাকে আরও সহজ করে দিয়েছে। ১৩৮ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র এক উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকরা জয় পেয়েছে ৯ উইকেটে। প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের জয়ের হ্যাটট্রিক।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হয় বাংলাদেশের। প্রথম দুই ওভারে মাত্র ৩ রান এলেও পরের ওভারে চার-ছক্কা মেরে রান তোলার গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন জাওয়াদ। সেখান থেকে স্বাগতিকদের আর পিছু হটতে দেননি দুই ওপেনার। পাওয়ার প্লেতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বোলারদের বিপক্ষে দারুণ ব্যাটিং করেছেন তারা দুজন।

জাওয়াদ ও কালামের ব্যাটে পাওয়ার প্লেতে কোন উইকেট না হারিয়ে ৬৫ রান তোলে বাংলাদেশ। তবে একটু পরই নিজেদের প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। উদিত সুরির বলে উইকেটের পেছনে থাকা মুদিত আগারওয়ালের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন জাওয়াদ। সাজঘরে ফেরার আগে সমান তিন ছক্কা ও চারে ৪৬ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলেছেন বাংলাদেশের ওপেনার।

জাওয়াদ ফেরার পর অধিনায়ক কালামের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে জুটি গড়েন শাহরিয়াল আজমীর তূর্য। পরবর্তীতে তারা দুজন মিলেই বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেছেন। হাফ সেঞ্চুরি না পেলেও ৪২ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন কালাম। দারুণ ব্যাটিংয়ে শাহরিয়ালও করেছেন ৩৭ বলে ৩৯ রান। সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ২৯.২ ওভার বাকি থাকতেই হ্যাটট্রিক জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।

এর আগে সকালের শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সংযুক্ত আরব আমিরাত। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই ২ উইকেট হারায় তারা। সফরকারীদের হয়ে সর্বোচ্চ ২৯ রান করেছেন সুরি। এ ছাড়া ইয়ায়ীন কিরান রাই ২৩, ইথান কার্ল ডি সুজা ১৮ এবং কারান ধীমান ১৬ রান করেছেন। বাংলাদেশের হয়ে ৪ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন দেবাশীষ। একটি করে উইকেট পেয়েছেন আল ফাহাদ, সাদ ইসলাম রাজিন, সামিউন বাশির রাতুল, ফারহান শাহরিয়ার ও রিজান হোসেন।