বাংলাদেশ - সাউথ আফ্রিকা সিরিজ

চট্টগ্রাম টেস্ট থেকেও ছিটকে গেলেন বাভুমা

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 15:07 শুক্রবার, 25 অক্টোবর, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে পাওয়া কনুইয়ের চোটে মিরপুর টেস্ট থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন টেম্বা বাভুমা। দলের সঙ্গে বাংলাদেশে আসা সাউথ আফ্রিকার অধিনায়কের সেরে উঠার কথা ছিল দ্বিতীয় টেস্টের আগেই। তবে চোটে থেকে পুরোপুরি সেরে উঠতে না পারায় চট্টগ্রাম টেস্ট থেকেও ছিটকে গেলেন বাভুমা।

চলতি মাসের শুরুতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে কনুইয়ের চোটে পড়েছিলেন বাভুমা। এমন অবস্থায় আউট না হয়েও মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাকে। পরবর্তীতে আইরিশদের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে খেলা হয়নি তার। বাংলাদেশ সিরিজকে সামনে রেখে সাউথ আফ্রিকায় ফিরে গিয়েছিলেন বাভুমা। দেশে ফেরার পর জানা যায় বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে খেলা হচ্ছে না ডানহাতি ব্যাটারের।

ধারণা করা হচ্ছিলো, চট্টগ্রাম টেস্টের আগেই সেরে উঠবেন তিনি। সে কারণে প্রোটিয়া দলের সঙ্গে বাংলাদেশে এসেছেন তিনি। মিরপুরে চিকিৎসকের অধীনে থাকলেও সেরে ওঠা হয়নি তার। ফলে প্রথম টেস্টের মতো দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টেও খেলা হচ্ছে না বাভুমার। এমন অবস্থায় চট্টগ্রাম আবারও সাউথ আফ্রিকাকে নেতৃত্ব দেবেন এইডেন মার্করাম।

বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে বাভুমাকে ছাড়াই জয় পেয়েছে সাউথ আফ্রিকা। প্রায় এক দশক পর উপমহাদেশে পাওয়া জয়ে বল হাতে অবদান রেখেছেন কাগিসো রাবাদা, কেশভ মহারাজরা। ব্যাটিংয়ে কাজটা করে দিয়েছেন উইয়ান মুল্ডার ও কাইল ভেরেইনা। অলরাউন্ডার মুল্ডার বল হাতেও আলো ছড়িয়েছেন। মিরপুরে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে সাউথ আফ্রিকা। আগামী ২৯ অক্টোবর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে হবে সিরিজের শেষ টেস্ট।

এদিকে ২০২২ সালে ভারতের সফরেও কনুইয়ের চোটে পড়েছিলেন বাভুমা। যে কারণে একই বছরের শেষদিকে ইংল্যান্ড সফর থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন ৩৫ বছর বয়সী এই ব্যাটার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে ফিরলেও ২০২২ সালে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল সাউথ আফ্রিকা। এসএ টোয়েন্টির জন্য নিউজিল্যান্ড সফরে খেলতে যাননি বাভুমা।

যার ফলে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এবারের চক্রে কেবলমাত্র ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই পুরো সিরিজ খেলেছেন। এবারের চক্রে এখনও পাঁচটি টেস্ট বাকি সাউথ আফ্রিকার। যেখানে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি, ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি করে টেস্ট খেলবে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলতে চাইলে ৫ ম্যাচের মাঝে অন্তত চারটিতে জিততে হবে প্রোটিয়াদের।