|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট শেষে তিন সংস্করণের অধিনায়কত্ব ছাড়তে যাচ্ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত! ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দিতেই নিজে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর চারপাশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে বাঁহাতি এই ব্যাটার। বেশিরভাগেরই প্রশ্ন সত্যিই কি অধিনায়কত্ব ছাড়তে যাচ্ছেন শান্ত? এমন জানতে চাওয়ার পেছনে আরও একটা প্রশ্ন লুকিয়ে ছিল।
ব্যাটিংয়ে বাজে ফর্মের কারণে সমালোচনার মুখে পড়া শান্ত নিজেই ছাড়ছেন নাকি তাকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে! এমন প্রশ্নও ঘুরে বেড়িয়েছে চারপাশে। বাংলাদেশের অধিনায়কের এমন সিদ্ধান্তের কথা জানতেই তার সঙ্গে আলাপ করতে চেয়েছিলেন ফারুক আহমেদ। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টেস্ট চলাকালীন চট্টগ্রামে গিয়ে ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলাপও করেছেন বিসিবি সভাপতি। অধিনায়কত্বের বিষয়টি সুরাহা করেছেন শান্তর সঙ্গে কথা বলেও।
যদিও বিসিবি সভাপতি ও শান্তর মাঝে কী আলাপ হয়েছে সেটা জানা যায়নি। শান্ত অধিনায়কত্ব ছাড়বেন এমন গুঞ্জনের মাঝেই তাকেই ‘ড্রাইভিং সিটে’ বসিয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। প্রধান নির্বাচক অবশ্য শান্তকে অধিনায়ক রাখার বলটি ঠেলে দিয়েছেন বোর্ডের কোটে। এদিকে শান্ত সরে দাঁড়ালে অধিনায়কের দায়িত্ব আসতে পারে মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ ও তাওহীদ হৃদয়ের কাঁধে।
ফারুক নিজেই সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তাসকিন ও মিরাজের কথা বলেছেন। ফিটনেস ও পারফরম্যান্স বিবেচনায় তাসকিন অধিনায়ক হবেন কিনা সেটা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন তৈরি হতে পারে। পারফরম্যান্সে পুষিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলেও ডানহাতি পেসারের সবচেয়ে বড় চিন্তার নাম চোট। তবে বোর্ড চাইলে অধিনায়ক হতে আপত্তি নেই তাসকিনের। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেখুন, এগুলো পুরোপুরি বোর্ডের সিদ্ধান্ত। বোর্ড যদি চায় তাহলে কেন না।’
আগষ্ট-সেপ্টেম্বরে পাকিস্তান মাটিতে তাদেরকে টেস্টে হোয়াইটওয়াশ করলেও সাম্প্রতিক সময়ে দল হিসেবে পারফর্ম করতে পারছে না বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর ঘরের মাঠে সাউথ আফ্রিকার সঙ্গেও ভালো করতে পারেনি। দুই টেস্টের সিরিজে নূন্যতম লড়াই করতে পারেননি শান্তরা। এবার বাংলাদেশের সামনে আফগানিস্তান মিশন।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ জিতে খারাপ সময় পেছনে ফেলতে চান তাসকিন। ডানহাতি পেসার বলেন, ‘প্রত্যেক সিরিজে তো আমরা সবসময় আশা নিয়েই যাই। দুর্ভাগ্যক্রমে হয়ত সবশেষ কয়েকটা ম্যাচ ভালো হয়নি। আবার স্বপ্ন নিয়েই যাচ্ছি, ভালো কিছু হবে। আশা করি এই সিরিজে ভালো কিছু করে আমাদের এই খারাপ সময়টা একটু ভালো হবে ইনশাআল্লাহ।’
আফগানদের বিপক্ষে সিরিজটা যে বাংলাদেশের জন্য সহজ হবে না সেটা ভালো করেই জানেন তাসকিন। দুবাই কিংবা শারজাহ নিজেদের ঘরের মাঠ হওয়ায় টাইগারদের বড় চ্যালেঞ্জর মুখেই ফেলবে। তাদেরকে চ্যালেঞ্জিং প্রতিপক্ষ মানলেও সিরিজ জয়ে আত্মবিশ্বাসী তিনি। তাসকিন বলেন, ‘তারা চ্যালেঞ্জিং, বিশেষ করে দুবাই। ভালো খেলা হবে আর আমরা জিতব ইনশাআল্লাহ।’