|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেকে বরিশাল বিভাগকে গুঁড়িয়ে দেয়ার কাজটা করেছিলেন আশরাফুল ইসলাম সিয়াম। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেয়া ডানহাতি অফ স্পিনার দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন আরও তিন উইকেট। আশরাফুলের সঙ্গে শহিদুল ইসলামও তিনটি উইকেট নিয়েছেন। তাদের এমন বোলিং পারফরম্যান্সে ফলো-অনে পড়া বরিশাল দ্বিতীয় ইনিংসে থেমেছে ২৫১ রানে। জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম রাউন্ডে ঢাকা মেট্রোকে মাত্র ৬৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বরিশাল। তাতে কেবল ইনিংস হারই এড়িয়েছে তারা। সহজ লক্ষ্য দাঁড়ায় ২ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নিয়েছে ঢাকা মেট্রো।
সিলেট একাডেমি গ্রাউন্ডে জয়ের জন্য ৬৩ রান তাড়ায় ইনিংসের পঞ্চম ওভারেই আনিসুল ইসলাম ইমনের উইকেট হারায় ঢাকা মেট্রো। রুয়েল মিয়ার লেগ স্টাম্পের উপরের বলে লেগ সাইডে গ্ল্যান্স করতে চেয়েছিলেন ডানহাতি ওপেনার। শর্ট লেগ স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা ইফতেখার হোসেন ইফতি ক্যাচ নিতেই ৮ রানে ফিরতে হয়েছে আনিসুলকে। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি পাওয়া আইচ মোল্লাও ফিরেছেন দ্রুতই।
তানভীর ইসলামের অফ স্টাম্পের লেংথ ডেলিভারিতে ব্যাকফুটে গিয়ে কাট করতে চেয়েছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। তবে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হয়েছেন ৪ রান করা আইচ। একটু পর রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরেছেন ইমরানুজ্জামান। রুয়েলের দারুণ এক ইয়র্কারে ঠেকিয়ে রান নিতে গিয়ে কুঁচকির চোটে পড়েন ডানহাতি এই ওপেনার। তবে মার্শাল আইয়ুব ও শামসুর রহমান শুভর ব্যাটে জয় নিশ্চিত করেন। শেষ পর্যন্ত মার্শাল ১৪ এবং শামসুর অপরাজিত ১৫ রানে।
এর আগে বিনা উইকেটে ২২ রান নিয়ে চতুর্থ দিন সকালে ব্যাটিংয়ে নামেন বরিশালের দুই ওপেনার আব্দুল মজিদ ও ইফতেখার। যদিও দিনের শুরুতেই উইকেট হারায় তারা। প্রথম ইনিংসে ২ রানের জন্য সেঞ্চুরি করতে না পারার আক্ষেপে পোড়া ইফতেখার এবার আউট হয়েছেন ২৩ রানে। আরিফ আহমেদের বলে আল আমিন জুনিয়রের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। তিনে নেমে ওয়ানডে ঘরানার ব্যাটিং করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি ফজলে মাহমুদ রাব্বি। বাঁহাতি ব্যাটারকে ফিরিয়েছেন লেগ স্পিনার আমিনুল আসলাম বিপ্লব।
দলের রান একশ পার হতেই সাজঘরে ফিরেছেন মজিদ। ১৫১ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলা মজিদকে শিকার করেছেন আশরাফুল। নিজের পরের ওভারে জসিম উদ্দীনকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেছেন ডানহাতি অফ স্পিনার। বরিশালকে পথ দেখাতে থাকেন তাসামুল হক ও মইন খান। তারা দুজনে মিলে দ্রুতই রান তোলার চেষ্টা করেছেন। হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া তাসামুল ৬২ রান করলেও মইন ফিরেছেন ৪২ রানে। শেষ দিকে সোহাগ গাজী ৩৬ রান করেছেন। শেষ পর্যন্ত ২৫১ রানে অল আউট হয় তারা। ঢাকা মেট্রোর হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন আশরাফুল ও শহিদুল।