|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
প্রথম ইনিংসে ভারতকে মাত্র ৪৬ রানে অল আউট করে টেস্ট জয়ের কাজ অনেকটাই এগিয়ে রেখেছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্রের সেঞ্চুরি তো জয়কে আরও কাছে এনে দিয়েছেন। তবে নিউজিল্যান্ড থেকে বহুদূরে দাঁড়িয়ে লড়াইয়ে ফেরার চেষ্টা করেছিলেন সরফরাজ আহমেদ ও ঋষভ পান্ত। খানিকটা অবদান আছে বিরাট কোহলিরও। তবে সবকিছু ভেস্তে গেছে শেষের ধসে। ১০৭ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়ায় খুব বেশি বেগের হওয়ার কথা ছিল না নিউজিল্যান্ডের। তবে সফরকারীদের ভয়টা ছিল বৃষ্টিকে ঘিরে। বেঙ্গালুরুতে সকালের বৃষ্টি ছাপিয়ে রোদের আভা মিলতেই কিউইদের জয়ের স্বপ্নটা একটু একটু করে উঁকি দিতে থাকে।
ব্যাটিংয়ে মহাবিপর্যয় না হলে নিউজিল্যান্ডের জয়টা অবধারিতই ছিল। শেষদিনের প্রথম সেশনে শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতা সেরেছেন উইল ইয়াং এবং রাচিন। তাদের দুজনের ব্যাটে ৮ উইকেটের সহজ জয়ে আনন্দে উল্লাসে মেতেছে সফরকারীরা। অপেক্ষার প্রহর ফুরানো জয়ে ৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘুচেছে টম লাথামদের। ১৯৮৮ সালের পর এবারই প্রথম ভারতের মাটিতে জয় পেল নিউজিল্যান্ড। সবমিলিয়ে ভারতের মাটিতে কিউইদের জয়ের সংখ্যা তিনটি।
বৃষ্টির কারণে প্রথম দিনের পুরোটা সময় বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল। বৃষ্টি হানা দিয়েছিল চতুর্থ দিনের সকালেও। শেষ বিকেলে সময়ের আগে খেলা শেষ হয়েছে আলোকস্বল্পতায়। যদিও পরবর্তীতে তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়। এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, বেঙ্গালুরুর টেস্টের শেষদিনে বৃষ্টির আভাস ছিল আগে থেকেই। গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি এবং ভেজা আউটফিল্ডের কারণে পঞ্চমদিনের খেলা শুরু হয়েছে এক ঘণ্টা দেরিতে।
ব্যাটিংয়ে নেমে দিনের দ্বিতীয় বলেই উইকেট হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। জসপ্রিত বুমরাহর অফ স্টাম্পের লেংথ ডেলিভারিতে সামনের পায়ের উপর ভর করে খেলতে চেয়েছিলেন লাথাম। তবে বলের লাইন মিস করে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন বাঁহাতি ওপেনার। নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক রিভিউ নিলেও শেষ রক্ষা হয়নি তার। ৬ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি লাথাম।
তিনে নেমে আরেক ওপেনার ডেভন কনওয়েকে সঙ্গ দিতে থাকেন ইয়াং। তবে উইকেট থেকে বাড়তি সুবিধা পেয়ে কিউই দুই ব্যাটারকে চাপে রাখছিলেন বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজ। তবে সফরকারীদের পথ হারাতে দেননি তারা। বরং রান তোলায় মনোযোগী না হয়ে উইকেটে থিতু হচ্ছিলেন তারা। কনওয়েকে ফিরিয়ে চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করেন বুমরাহ। ডানহাতি পেসারের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন।
বাঁহাতি ওপেনার ফিরেছেন ৩৯ বলে ১৭ রানের ইনিংস খেলে। কনওয়ে ফেরার পর ব্যাটিংয়ে নেমে চার মেরে রানের খাতা খোলেন রাচিন। পরবর্তীতে ইয়াং এবং রাচিন মিলে দ্রুত রান তুলতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত রবীন্দ্র জাদেজার শর্ট অব লেংথ ডেলিভারিতে ব্যাকফুটে গিয়ে কাট করে চার মেরে নিউজিল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করেছেন ইয়াং। ডানহাতি ব্যাটার অপরাজিত ছিলেন ৪৮ রানে। আরেক ব্যাটার রাচিন ৩৯ রানে অপরাজিত ছিলেন।