ভারত- বাংলাদেশ সিরিজ

কষ্ট বা অভিমান থেকে নয়, সরে দাঁড়ানোর এটাই সঠিক সময়: সাকিব

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 16:31 বৃহস্পতিবার, 26 সেপ্টেম্বর, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

অবশেষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ওয়ানডে এবং টেস্ট ক্রিকেট ছাড়ার সময়সীমাও বেধে দিয়েছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। বিদায় বেলায় কোনও আক্ষেপ নেই সাকিবের। সরে যাওয়ার জন্য এটাকেই সঠিক সময় মনে করছেন তিনি।

টি-টোয়েন্টিতে আর কখনোই দেখা যাবে না ফরম্যাটটির অন্যতম সেরা এই ক্রিকেটারকে। বেশ কিছুদিন ধরেই ব্যাটে রান পাচ্ছিলেন না সাকিব, বোলিংয়ে ছিল না আগের মতো সেই ধার। পাশাপাশি চোখের অস্বস্তি এবং আঙুলের চোটে সময় পার করছিলেন তিনি।

এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনও প্রভাবিত করেছে সাকিবের ক্যারিয়ারের অন্তিম মুহূর্তটিকে। তবে বিদায়বেলায় এসব নিয়ে কিছুই বলেননি সাকিব। আপাতত তার জায়গায় তরুণদের সুযোগ পাওয়ার কথা ভেবেই স্বস্তি পাচ্ছেন তিনি।

সাকিব বলেন, 'না কষ্ট বা অভিমান থেকে নয়। আমার মনে হয় এটাই সঠিক সময় মুভ অন করার জন্য, নতুনদের আসার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। একইসাথে টি-টোয়েন্টিতেও আমার একই ধরনের চিন্তা। বোর্ডের সবার সাথেও কথা হয়েছে। এটাই সেরা সময় যে টি-টোয়েন্টি থেকেও আমি মুভ অন করি। আমি বাইরের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলো খেলি ৬ মাস বা ১ বছর।'

'এর মধ্যে নতুন প্লেয়াররা সুযোগ পাক, নতুন প্লেয়াররা আসুক। এরপর যদি বোর্ড মনে করে আমার টি-টোয়েন্টিতে অবদান রাখার সুযোগ আছে তাহলে আমরা বসে আলোচনা করতে পারি। আমি নিজেকে টি-টোয়েন্টিতে দেখছি না। দক্ষিণ আফ্রিকা যেহেতু টেস্ট সিরিজ, আমার ইচ্ছা আছে লাস্ট সিরিজ হবে। দুই ফরম্যাটে আমার শেষটা আমি দেখছি।'

ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের পর তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। কানপুর টেস্টের পর সেই তিনটি টেস্ট খেলার সুযোগও ছিল সাকিবের সামনে। যদিও তরুণদের কথা বিবেচনা করে এই সিরিজে খেলছেন না বলে জানিয়েছেন সাকিব।

তিনি বলেন, 'এই ম্যাচগুলো খেলার কোনো কারণ দেখছি না। আমার কাছে মনে হয় নতুনদের সুযোগ দেওয়া উচিত। তাদের দেখার ভালো সুযোগ এটা। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ আছে। ২০২৬ সালের দিকে যদি বোর্ড তাকায় সেটাই ভালো দিক। আমরা সবাই মিলে এটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সবাই একমত আছি।'