|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
৫ ছক্কা ও ৮ চারে গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ডেভিড মিলার খেললেন ৩৪ বলে অপরাজিত ৭১ রানের ইনিংস। এমন বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের পর বার্বাডোজ রয়্যালসকে জেতাতে পারেননি সাউথ আফ্রিকার ব্যাটার। বার্বাডোজকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিতে না পারলেও মিলার নিজে পৌঁছে গেছেন ৫০০-র ক্লাবে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসের ষষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে এমন কীর্তি গড়লেন তিনি।
২০০৮ সালে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক হয় মিলারের। ১৬ বছর ১৭২ দিনে সাউথ আফ্রিকার প্রথম ব্যাটার হিসেবে খেলেছেন ৫০০ ম্যাচ। এমনকি প্রথম বিশেষজ্ঞ ব্যাটার হিসেবে এমন কীর্তি গড়েছেন তিনি। মিলারের আগে টি-টোয়েন্টিতে ৫০০ ম্যাচ খেলার রেকর্ড আছে কাইরন পোলার্ড, ডোয়াইনে ব্রাভো, সুনীল নারিন, আন্দ্রে রাসেল এবং শোয়েব মালিকের।
৫০০ টি-টোয়েন্টি ব্যাট হাতে ৩৪.৮৯ গড় এবং ১৩৭.৫১ স্ট্রাইক রেটে ১০ হাজার ৬৭৮ রান করেছেন মিলার। প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ২০ ওভারের ক্রিকেটে ৫০০তম ম্যাচ খেলেছেন পোলার্ড। ২০২০ সালের মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে এমন মাইলফলক ছুঁয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি অলরাউন্ডার।
পোলার্ডের পর ৫০০-র ক্লাবে প্রবেশ করেছেন ব্রাভো। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের হয়ে খেলার সময় এমর মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খেলার সময় রংপুর রাইডার্স ও ঢাকা ডমিনেটর্সের ম্যাচে তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ৫০০-র ক্লাবে জায়গা করে নেন পাকিস্তানের মালিক।
ব্রাভো ও পোলার্ডের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে মালিকের পর ৫০০ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন সুনীন নারিন। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) কলকাতা নাইট রাইডার্স ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ম্যাচ দিয়ে এলিট ক্লাবে ঢোকেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ক্রিকেটার। নারিনের পরের ক্রিকেটারও ওয়েস্ট ইন্ডিজেরই।
সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার সময় পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে ৫০০তম ম্যাচ খেলেছেন রাসেল। তাদের সঙ্গেই নতুন করে যুক্ত হলেন সাউথ আফ্রিকার মিলার। ৫০০-র ক্লাবে প্রবেশের অপেক্ষায় আছেন ইংল্যান্ডের রবি বোপারা এবং অ্যালেক্স হেলস। যেখানে বোপারা ৪৭৮ এবং হেলস খেলেছেন ৪৭৫ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এখনও খেলা চালিয়ে যাওয়ায় এমন রেকর্ডের খুব কাছেই আছেন তারা দুজন।