ভারত - বাংলাদেশ সিরিজ

বাংলাদেশ ম্যাচে বানরের চুরি ঠেকাতে লেঙ্গুরের দ্বারস্থ ভারত

ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট

ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশের তারিখ: 19:54 শুক্রবার, 27 সেপ্টেম্বর, 2024

||  ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট, কানপুর থেকে ||

বেরসিক বৃষ্টিতে কানপুরের গ্রিনপার্ক স্টেডিয়ামে ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথমদিন শেষ হয়েছে নির্ধারিত অনেক আগেই। কয়েক দফায় বৃষ্টি হানা দিলে প্রথম দিনে ৩৫ ওভারের বেশি খেলা সম্ভব হয়নি। পুরো দিনের খেলা না হওয়ায় কাজ শেষ করে সাংবাদিকদের বেশিরভাগই তখন প্রেসবক্স থেকে বেরিয়ে গেছেন।

পড়ন্ত বিকেলে তখনই হঠাৎ করে প্রেস বক্সের সামনের জায়গায় দেখা গেলো বড় আকৃতির এক বানরকে। এমন সময় একা একা কোথা থেকে এলো সেটা অবশ্য বোঝা একটু কঠিন। সেখান থেকে একটু পর প্রেস বক্সের বিল্ডিং থেকে লাফ দিয়ে পাশের গ্যালারির দিকে চলে গেছে বানরটি। কাউকে সেভাবে জ্বালাতন করতে দেখা যায়নি। এমনকি কেউ সেই বানরকে নিয়ে অভিযোগও করেনি।

কানপুরে বানরটিকে এমন শান্ত শিষ্ট কিংবা নিষ্পাপ দেখালেও পুরোটা সময় তারা এমন থাকে না। শুনতে অদ্ভুত লাগলেও স্টেডিয়ামে প্রবেশ করা ছোট প্রকৃতির বানরদের বিপক্ষে আছে চুরির অভিযোগ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানাতে গেছে সেই চুরি ঠেকাতেই আনা হয়েছে বড় বানরগুলোকে। হিন্দিতে যাদের বলা হয় লেঙ্গুর।

কানপুর স্টেডিয়ামের ঝুকিপূর্ণ ‘সি’ গ্যালারির উপরের দিকে খেলা সম্প্রচারকারী ক্যামেরা ক্রুদের জন্য একটা মঞ্চ বানানো হয়েছে। ছোট ছোট বানরদের হামলা মূলত সেদিকেই বেশি। এক অথবা এক পাল বানর আসে, ক্যামেরা ক্রুদের খাবার চুরি করে পালিয়ে যায়। এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে কানপুরের এই মাঠে। এ কারণেই বানরের উপদ্রব ঠেকাতে এবার লেঙ্গুরের শরণাপন্ন হয়েছে এমন অভিনব পন্থার পুরো কৃতিত্ব পাচ্ছে উত্তর প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন।

খানিকটা হাস্যকর শোনালেও শুধুমাত্র বানরের উপদ্রব ঠেকানোর জন্যই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে একজনকে। দায়িত্বপ্রাপ্ত সেই ব্যক্তি নিশ্চিত করেছেন লেঙ্গুর আনার কথা। সেই সাথে তিনি এও বলেছেন যে বানর সমস্যার সমাধান করতে নানা পদক্ষেপ নেয়ার কথা ভাবছে কর্তৃপক্ষ এবং লেঙ্গুর আনা তার মধ্যে একটা। এই ব্যাপারটাকে নেতিবাচকভাবে নেয়ার কিছু নেই।

খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, বানর তাড়াতে লেঙ্গরু বেশ কার্যকরী এবং এটা বেশ প্রাচীন একটা পদ্ধতি। ভারতে নানা বাগান বা ফসলের মাঠেও বানরের উপদ্রব এড়াতে লেঙ্গুর রাখা হয়। মূলত ছোট আকারের বানর বড় সাইজের লেঙ্গুর দেখলে বা তাদের ডাক শুনলে ভয়ে পালিয়ে যায়। একারণেই শুনতে হাস্যকর মনে হলেও লেঙ্গুরের শরণাপন্ন হয়েছে কানপুরের মাঠ কর্তৃপক্ষ।