টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

সুপার এইটে বিদায় নিলেও প্রায় ৬ কোটি টাকা পাচ্ছে বাংলাদেশ

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 17:16 মঙ্গলবার, 25 জুন, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

সুপার এইটে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশনের সমাপ্তি ঘটেছে। বিশ্বকাপের সুপার এইট থেকে বিদায় নিলেও খালি হাতে ফিরছে না বাংলাদেশ দল। কারণ সেরা আট দলের লড়াইয়ে থাকায় আইসিসি থেকে ভালো অংকের আর্থিক পুরস্কার পাচ্ছে নাজমুল হোসেনের দল।

২০ দল নিয়ে আয়োজিত এবারের বিশ্বকাপে রেকর্ড পরিমাণ প্রাইজমানির ঘোষণা দিয়েছিল ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। সব মিলিয়ে ১১.২৫ মিলিয়ন ডলার বা ১৩২ কোটি টাকার প্রাইজমানি দেয়া হবে এবারের আসরে। যেখানে চ্যাম্পিয়ন দল প্রাইজমানি হিসেবে পাবে ২.৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকারও বেশি।

চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য এটাই সর্বোচ্চ প্রাইজমানি। এছাড়া রানার্স আপ দল কমপক্ষে ১.২৮ মিলিয়ন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৫ কোটি ২ লাখ টাকা প্রাইজমানি হিসেবে পাবে। সেমিফাইনালে হেরে যাওয়া দল দুটি পাবে ৭ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ ডলার করে।

টুর্নামেন্টের সুপার এইটে জায়গা করে নেওয়া দলগুলোর জন্য ন্যুনতম প্রাইজমানি ৩ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ৪ কোটি ৪৯ লাখ ২৬ হাজার টাকারও বেশি। তাহলে সুপার এইট থেকে বাড়ি ফিরেও বড় অর্থ নিয়ে ফিরছে বাংলাদেশ।

এছাড়া এবারের বিশ্বকাপে প্রতিটি ম্যাচ জয়ের জন্য দলগুলো পাচ্ছে ৩১ হাজার ১৫৪ ডলার। সে হিসেবে তিন ম্যাচ জেতা বাংলাদেশ পাচ্ছে ৯৩ হাজার ৪৬২ ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ১ কোটি ৯ লাখ ৭৭ হাজার ৬৫৩ টাকার সমান। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশের আয় ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৯৬২ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকারও বেশি।

এর বাইরে ম্যাচ ফি, ম্যাচসেরার পুরস্কারসহ অন্যান্য আয় তো আছেই। সব মিলিয়ে আর্থিক দিক থেকে বেশ ভালো বিশ্বকাপ কাটিয়েছে টাইগাররা। তবে মাঠের পারফরম্যান্সে তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলার সুযোগ পাচ্ছে না সমর্থকরা। কারণ সুপার এইটে যে একটি ম্যাচও যেতেনি দল।

এর আগে গ্রুপ পর্বে শ্রীলংকা, নেদারল্যান্ডস ও নেপালকে হারায় বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে সাত ম্যাচে জয় তিনটিতে। জয়ের সংখ্যা হিসেব করলে আগের সব আসরকে ছাড়িয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, প্রথম আসরের পর এবারই প্রথম তারা খেলল সেরা আটে। কিন্তু মাঠের পারফরম্যান্স বিশেষ করে, ব্যাটিং বিভাগ ছিল খুবই নড়বড়ে। ব্যাটিং ব্যর্থতা মাথায় নিয়েই শেষ ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট শেষ করল নাজমুল হোসেন শান্তর দল।