|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ছাত্র-জনতার সরকার বিরোধী আন্দোলনের পর থেকেই বাংলাদেশে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) বিকল্প ভেন্যুর কথা ভেবে রাখলেও ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য সব রকমের চেষ্টা করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এমন অবস্থায় বাংলাদেশের নারী বিশ্বকাপটি নিজেদের মাটিতে আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করেছে জিম্বাবুয়ে। এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইএসপিএন ক্রিকইনফো।
জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই বাংলাদেশের পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে শুরু করেছে আইসিসি। নিরাপত্তা শঙ্কায় বাংলাদেশে টুর্নামেন্ট আয়োজন করা সম্ভব না হলে বিকল্প ভেন্যু হিসেবে কোন দেশকে বিবেচনা করা হবে সেটাও ভেবে রেখেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার অবস্থায় ভারতের দ্বারস্থ হয়েছে আইসিসি।
যদিও নারী টি-টোয়েন্টি আয়োজনের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেনি বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। জয় শাহ নিশ্চিত করেছেন নারী বিশ্বকাপের চেয়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলের বিপক্ষে টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ। সেই সঙ্গে বর্ষা মৌসুমের অতি বৃষ্টি ও পরের নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের কথাও সামনে এনেছেন বিসিসিআইয়ের সদস্য সচিব।
সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে বর্তমানে সবার উপরে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এমন অবস্থায় নিজেদের মাটিতে বিশ্বকাপ আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করেছে জিম্বাবুয়ে। নিজেদের যোগ্য দাবি করে ২০১৮ এবং ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব আয়োজনের কথা সামনে এনেছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। যদিও এখনই বাংলাদেশ থেকে টুর্নামেন্ট সরে যাচ্ছে এমনটা বলার সুযোগ নেই।
ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে ইতোমধ্যে তোড়জোড় শুরু করেছে বিসিবি। সরকার পরিবর্তনের পর বিশ্বকাপ আয়োজনের নিরাপত্তা চেয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে চিঠি দিয়েছেন প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরি। এখন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জবাব পাওয়া যায়নি। এদিকে ১৫ আগষ্টও তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে জানা গেছে।
কদিন আগে সদ্যই যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া আসিফ মাহমুদ অবশ্য বাংলাদেশেই নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চান বলে জানান। এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসায় আইসিসির কাছে আরও ৫ দিন সময় চেয়েছে বিসিবি। বাংলাদেশের এমন অনুরোধে সম্মতিও দিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। অর্থাৎ আগামী ২০ আগষ্টের মাঝে নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করতে হবে বিসিবিকে।