|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে নজর রাখছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ক্রিকবাজ।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা ও ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটেছে। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি সামাল দিতে সবশেষ পাঁচদিন পুরো বাংলাদেশের ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবুও পরিস্থিতিতে শান্ত না হওয়ায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে বাধ্য হয় সরকার।
সেনাবাহিনী নামার পর দেশে কারফিউ দেয়া হয়। মাঝে তিনদিন সাধারণ ছুটিও ছিল। অবশেষে বড় পরিসরে কারফিউ শিথিল করে খুলে দেয়া হয়েছে অফিস-আদালত। এমনকি টানা কয়েকদিন ইন্টারনেট বন্ধ থাকার পর সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়েছে। যেখানে প্রাধান্য পেয়েছে আইটি সেক্টর, ব্যাংক, কর্পোরেট অফিস ও মিডিয়া খাত।
বাংলাদেশের যখন এমন পরিস্থিতি তখন শ্রীলঙ্কায় বার্ষিক সাধারণ সভা করেছে আইসিসি। ১৯ থেকে ২২ জুলাই হওয়া সভায় আলোচনার একটা অংশে ছিল বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি। আগামী অক্টোবরে ঢাকা ও সিলেটে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থাকায় নজর রাখছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। আইসিসির একটি সূত্র ক্রিকবাজকে এমন তথ্য জানিয়েছে।
কলম্বোর সভা শেষে আইসিসির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করছি। যদিও টুর্নামেন্ট শুরু হতে কিছুটা সময় বাকি আছে। এদিকে পরিস্থিতি গত ২৪ ঘণ্টায় আরও উন্নতি হয়েছে।’
আগামী ৩ অক্টোবর পর্দা উঠবে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরের। ১০ দলের টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ২০ অক্টোবর। সবগুলো ম্যাচই হবে ঢাকার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে।
১০ দলকে দুটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। যেখানে ‘বি’ গ্রুপে রয়েছে বাংলাদেশ। নিগার সুলতানা জ্যোতিদের প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকছে ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, স্কটল্যান্ড ও সাউথ আফ্রিকা। এদিকে ‘এ’ গ্রুপে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা।