|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ক্রিকেটে নারী-পুরুষ বৈষম্য দূর করতে বেশ কিছুদিন ধরেই কাজ করছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ছেলেরা যেসব সুবিধা পেয়ে থাকেন মেয়েরাও যেন সেই সুবিধাই পান সেজন্য কাজ করছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এবার সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পুরুষদের সমান প্রাইজমানি দেয়া হয়ে নারী দলগুলোকে। গত জুলাইতেই আইসিসির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।
যদিও আইসিসির পক্ষ থেকে সম্প্রতি এই সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ৩ অক্টোবর থেকে শুরু হবে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই আসরের চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২.৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ২৮ কোটি টাকা। এর আগে ২০২৩ সালে নারীদের টি-২০ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া দল ১ মিলিয়ন ডলার পুরষ্কার পেয়েছিল।
শতাংশের হিসেবে সেই অর্থ বেড়েছে ১৩৪ গুণ। এদিকে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের রানার্স আপ দল পাবে ১.১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ১৪ কোটি টাকা। আগে যা ছিল মাত্র ৫ লাখ ডলার। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে পুরষ্কারের পেছনে আইসিসির ব্যয় হবে মোট ৭.৯৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ৯৫ কোটি টাকা।
যা আগের তুলনায় ২২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগের আসরে ২.৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ২৯ কোটি টাকার পুরষ্কার তুলে দেয়া হয়েছিল দলগুলোর হাতে। আইসিসির বিবৃতিতে জানানো হয়েছে ২০৩২ সালের মধ্যে মেয়েদের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে চায় তারা।
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রাইজমানি বৃদ্ধি সেই পরিকল্পনারই অংশ। অবশ্য ছেলেদের ২০২৪ বিশ্বকাপে দলের সংখ্যা ছিল ২০। ফলে সেখানে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চেয়ে বেশি অর্থ খরচ হয়েছে আইসিসির। মেয়েদের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের প্রতি ম্যাচ জয়ের জন্য ৩১ হাজার ১৫৪ ডলার বা প্রায় ৩৭ লাখ টাকা দেয়া হবে।
যে ছয় দল সেমিফাইনালে খেলতে পারবে না। তাদের মধ্যে অবস্থান অনুযায়ী ১.৩৫ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১৬ কোটি টাকা ভাগ করে দেয়া হবে। বিশ্বকাপে অংশ নেয়া দলগুলোর মধ্যে কেউ কোনো ম্যাচ জিততে না পারলেও প্রায় ২ কোটি টাকা পেতে পারে আইসিসির বন্টন অনুযায়ী।