|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
অধিনায়ক হিসেবে সাউথ আফ্রিকাকে প্রথমবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলেছেন এইডেন মার্করাম। এই প্রোটিয়া ক্রিকেটারের এমন একটি কীর্তি আছে যা দেশটির আর কোনো ক্রিকেটারের নেই। ২০১৪ সালে অধিনায়ক হিসেবে প্রোটিয়াদের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের শিরোপা জিতিয়েছিলেন মার্করাম। এখনও পর্যন্ত সাউথ আফ্রিকার একমাত্র বৈশ্বিক শিরোপা।
এরপর পেরিয়ে গেছে আরও ১০ বছর। এই দশ বছরেও সাউথ আফ্রিকা কখনও বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেনি। অনেক চরাই উৎরাই পেরিয়ে সাউথ আফ্রিকা জাতীয় দলেরও নেতৃত্ব পান মার্করাম। প্রথমবারের মতো অধিনায়ক হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে নেমে দলকে নিয়ে গেছে স্বপ্নের ফাইনালে।
প্রথম সেমি ফাইনালে আফগানিস্তানকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে প্রোটিয়ারা। এই ম্যাচে আগে অনেকেই সাউথ আফ্রিকাকে নিয়ে সন্দিহান ছিল। কারণ সেমি ফাইনালে চোক করার অতীত ইতিহাস আছে তাদের। ৯ উইকেটের জয়ে সব শঙ্কা কাটিয়ে ঠিকই ফাইনালে উঠেছে সাউথ আফ্রিকা। এর মধ্যে দিয়ে ১৯৯৮ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ের পর আইসিসির ইভেন্টে এই প্রথম ফাইনালে উঠল তারা।
অবশ্য সাউথ আফ্রিকা সেমি ফাইনালে জয়ের আগেই তাদের নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন সাবেক অজি ওপেনার ম্যাথু হেইডেন। তিনি মনে করেন এবার বিশ্বকাপ জিতবে সাউথ আফ্রিকাই। বিশেষ করে তাদের ব্যাটারদের ফর্মের কারণেই এমনটা মনে করছেন অস্ট্রেলিয়ার এই কিংবদন্তী ব্যাটার।
ক্রিকফ্রেঞ্জির সঙ্গে একান্ত আলাপে হেইডেন বলেছেন, 'আমার মনে হচ্ছে সাউথ আফ্রিকা বিশ্বকাপ জিতবে। এর সম্ভাবনা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। ভারত ও ইংল্যান্ড আজ মাঠে নামছে। এখনও অনেক কিছু বোঝার বাকি আছে। কারা ফাইনালে জায়গা করে নেবে। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে সাউথ আফ্রিকা...'
প্রোটিয়াদের ব্যাটিং পাওয়ার হাউজ বলতেও দ্বিধা বোধ করছেন না হেইডেন। কুইন্টন ডি কক এবার দুর্দান্ত ফর্মে আছেন। সেমি ফাইনালে মাত্র ৫ রান করে ফিরলেও ৮ ইনিংসে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২০৪ রান। স্ট্রাইক রেটটা ১৫০ এর কাছাকাছি। এ ছাড়া অধিনায়ক মার্করামও ছন্দে আছেন।
হেনরিখ ক্লাসেন ৭ ইনিংসে ১৩৮ রান করেছেন। এমনকি বেশ কয়েকটি ম্যাচে প্রোটিয়া স্পিনাররাই ম্যাচের মোড় বদলে দিয়েছেন। নিয়মিত উইকেট নিচ্ছেন কেশভ মহারাজ। ৭ ম্যাচে তিনি ৯ উইকেট নিয়েছেন। তবে হেইডেনের চোখে এক্স ফ্যাক্টর হচ্ছেন তাবরাইজ শামসি। তিনিও আছেন ফর্মের তুঙ্গে। ৪ ম্যাচেই তার দখলে ১১ উইকেট। এ কারণেই সাউথ আফ্রিকাকে অপ্রতিরোধ্য মনে করছেন হেইডেন।
তার ভাষ্য, 'তারা বিশ্বকাপে মাঝে যেমনটা খেলেছে এ কারণেই আমার এমন মনে হচ্ছে। বিশেষ করে তারা ব্যাটিং পাওয়ার হাউজ। তাদের সলিড বোলিং অ্যাটাকও রয়েছে। আমার মনে হয় শামসি খুব ভালো করছে সঠিক সময়ে। পুরো টুর্নামেন্টেই সাউথ আফ্রিকা বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে। এর পেছনে আরও কিছু কারণ আছে।'
এখন দেখার বিষয় ফাইনালে নিজেদের সেরা পারফরম্যান্সটা করে শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে পারে কিনা সাউথ আফ্রিকা। ২০১৪ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মার্করাম। ১২৩.৩৩ গড়ে ৩৭০ রান করে হয়েছিলেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়। সেই বিশ্বকাপে মার্করামের সারথি ছিলেন কাগিসো রাবাদাও। তিনি হয়েছিলেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। এবার তিনিও আছেন এই দলে।