ভোট দিলেন সাকিব

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বাংলাদেশের হয়ে আরো ২ বছর খেলে অবসরে যেতে চান সাকিব
১৬ এপ্রিল ২৫
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা–১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাকিব আল হাসান আজ রোববার সকাল আটটার দিকে দরি মাগুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন। এ সময় বেশ ফুরফুরে মেজাজে দেখা গেছে বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারকে।
সকাল আটটায় সারা দেশেই শুরু হয় ভোট কার্যক্রম। সুষ্ঠুভাবে এই কার্যক্রমে অংশ নিতে আটটার কয়েক মিনিট আগেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দরি মাগুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পৌঁছান সাকিব। সেখানে তার জন্য অপেক্ষারত ছিলেন গণমাধ্যমকর্মীরা।
সকাল আটটা বাজতেই ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করেন সাকিব। এ সময় তাকে সেখানে হাসিমুখে ভোট দিতে দেখা যায়। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাকিব তার প্রত্যাশার কথা জানান। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটকেন্দ্রগুলোয় ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

ভোট প্রদান শেষে গণমাধ্যমের সামনে সাকিব বলেন, ‘ভোটাররা তাদের প্রতিনিধি চয়েজ করবে আগামী ৫ বছরের জন্য। আমি সর্বোচ্চ পরিশ্রম করেছি, এখন মানুষের ওপর বাকিটা নির্ভর করছে। তবে জয়ের ব্যাপারে অবশ্যই আশাবাদী। আমি চেষ্টা করব বেশিরভাগ নির্বাচনী সেন্টারে যেতে।’
সংযুক্ত আরব আমিরাতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে চায় বাংলাদেশ
১ ঘন্টা আগে
বাংলাদেশ অধিনায়ক আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, ভোটাররা আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। নির্বাচনে জয়লাভ করে আগামী ৫ বছর মাগুরা-১ আসনের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চাই। মাগুরার উন্নয়নে আমার ভূমিকা থাকবে অগ্রগণ্য। আপনারা আমাকে সহযোগিতা করলে আমি অনেকদূর এগোতে পারব।’
ভোটের মাঠে সাকিবের সেরকম শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। যার কারণে তার জয় প্রায় নিশ্চিত বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা, কর্মী ও সমর্থকরা। সদর উপজেলার একাংশ ও শ্রীপুর নিয়ে গঠিত মাগুরা–১ আসনে সাকিব আল হাসানের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আছেন চারজন।
তারা হচ্ছেন— জাতীয় পার্টির মো. সিরাজুস সায়েফিন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের কাজী রেজাউল হোসেন, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) কে এম মোতাসিম বিল্লা এবং তৃণমূল বিএনপির সনজয় কুমার রায়।
জানা গেছে, মাগুরা–১ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৪৮৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৮৬২ জন, আর নারী ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ৯৯ হাজার ৬২১। ভোটকেন্দ্র মোট ১৫২টি। বেশীরভাগ ভোটকেন্দ্রে সাকিব নিজে পরিদর্শন করবেন বলে জানা গেছে।