''অধিনায়কত্ব আমি চেয়ে নেইনি''

promotional_ad

গত শ্রীলঙ্কা সফরে মাশরাফি বিন মর্তুজা টি টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর নতুন অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব তুলে দেয়া হয় সাকিব আল হাসানের কাঁধে। এরপর দেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজে আঙ্গুলের ইনজুরিতে পরে তাঁকে মাঠের বাইরে ছিটকে পড়তে হয় দীর্ঘ দিনের জন্য।


তবে নিদাহাস ট্রফির সেমিফাইনাল দিয়ে আবারো মাঠে ফেরেন অধিনায়ক সাকিব। আর তাঁর অধীনে লঙ্কানদের হারিয়ে সিরিজের ফাইনালে পা রাখতে সক্ষম হয়েছিলো বাংলাদেশ। দল ভালো করলে যেকোনো অধিনায়কই তাঁর দায়িত্বকে চাপ হিসেবে না দেখে বরং উপভোগের উপলক্ষ হিসেবে দেখবেন এটাই স্বাভাবিক। সাকিবের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নয়। 


সম্প্রতি দেশের শীর্ষ বাংলা দৈনিক প্রথম আলোকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারেও সাকিব জানিয়েছেন অধিনায়কত্বকে বাড়তি চাপ হিসেবে দেখতে নারাজ তিনি। শুধু তাই নয়, অধিনায়ক হওয়ার পর নাকি বেশ সাহসও বেড়েছে সাকিবের। টাইগারদের টেস্ট এবং টি টোয়েন্টি অধিনায়ক বললেন, 


'অধিনায়কত্ব আমার কাছে কখনোই বাড়তি চাপ মনে হয়নি। অধিনায়ক হওয়ার পর আমার সাহস বরং বেড়েছে। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকে অধিনায়কত্ব করছি, তাও নয়। অনূর্ধ্ব-১৭ দলে বোধ হয় একবার করেছিলাম। ওভাবে অধিনায়কত্ব কখনো করিনি। অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর আমার সাহস আরও বেড়েছে।'


promotional_ad

এর আগে সর্বপ্রথম অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে। সেই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বল হাতে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৮ উইকেট শিকার করার পাশাপাশি দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৬ রানে অপরাজিত ছিলেন অধিনায়ক সাকিব।


বলা যায় ক্যারিবিয়ানদের মাটিতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েই ম্যাচটি জেতান তিনি। সেই টেস্টের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সাকিব বলছিলেন, 'যেটা বললাম, সাহস অনেক বেড়ে গিয়েছিল অধিনায়ক হওয়ার পর। ওটাই আমাকে সহায়তা করেছিল ভালো খেলতে।'


২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন সাকিব। এরপর ২০১১ সালের আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর সাকিবকে সরিয়ে দেয়া হয় অধিনায়কত্ব থেকে। সেই সরিয়ে দেয়ার বিষয়টি সাকিবের জন্য দুঃখজনকই বলতে হবে। যদিও ব্যক্তি সাকিবের এই বিষয় নিয়ে খুব বেশি খারাপ লাগা নেই। তিনি বললেন,  


'দুঃখজনক ঠিক আছে। অধিনায়কত্ব আমি চেয়ে নেইনি বা নিজ থেকেও সরে যাইনি (হাসি)! অধিনায়কত্ব পাওয়া, না পাওয়া কিছুই আমার হাতে নেই। ২০১১ সালে অধিনায়কত্ব হারানো নিয়ে আলাদা কোনো কষ্টবোধ নেই। হয়তো ওই সময় খনিকের জন্য হতে পারে, এখন সেটা আর নেই।'


সুত্র- প্রথম আলো



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball