আইসিসির নতুন প্রধান নির্বাহী জিওস্টারের সানযোগ গুপ্তা

ছবি: ফাইল ছবি

২০১০ সালে স্টার ইন্ডিয়ার (বর্তমানে জিওস্টার) সাংবাদিকতার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন সানযোগ। কয়েক বছরের ব্যবধানে কন্টেন্ট, প্রোগ্রামিং অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিতে প্রধান হিসেবে কাজ করেছেন। পরবর্তীতে ২০২০ সালে ডিজনি অ্যান্ড স্টার ইন্ডিয়ার হেড অব স্পোর্টস হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি। সানযোগের অধীনে ভারতের ক্রিকেটের বাজারে ব্যাপকভাবে উন্নতি হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ভাষায় খেলার সম্প্রচার, ডিজিটাইলেজন এবং মেয়েদের ক্রিকেট কাভারে মনোযোগ দিয়েছিলেন।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পাওয়ার প্লের নিয়ম পরিবর্তন করল আইসিসি
২৭ জুন ২৫
স্টার স্পোর্টস শেষে ২০২৪ সালের নভেম্বরে জিওস্টারের প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব নেন সানযোগ। জিওস্টারের মালিকানাধীন ভায়াকম১৮ এবং ডিজনি স্টারের দেখভালেও করেছেন তিনি। স্পোর্টস ইকোসিস্টেমে আমূল পরিবর্তন এনে আইসিসির প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পেলেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত সানযোগ। আইসিসির প্রধান নির্বাহী হতে ২৫ দেশ থেকে ২ হাজার ৫০০ জনের বেশি প্রার্থী আবেদন করেছিলেন।

সবার আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের পর ১২জনকে সংক্ষিপ্ত তালিকা করা হয়। পরবর্তীতে আইসিসির ডেপুটি চেয়ারম্যান ইমরান খাওয়াজা, ইসিবির চেয়ারম্যান রিচার্ড থম্পসন, শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের সভাপতি শাম্মী ডি সিলভা এবং বিসিসিআইয়ের সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া মিলে সানযোগের নাম প্রস্তাব করেন। আইসিসি সভাপতি জয় শাহ অনুমোদন দিলে প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয় তাকে।
আইসিসির প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পেয়ে সানযোগ বলেন, ‘এমন সুযোগ পাওয়া আমার জন্য গর্বের। বিশেষ করে এমন এক সময়ে যখন ক্রিকেটের প্রতি আবেগ বাড়ছে এবং ২ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে ভক্ত। ক্রিকেটের মান বাড়ছে, মর্যাদা বাড়ছে, ভক্ত ও ব্যবসা বাড়ছে। এমন সময় আইসিসিতে যোগ দিয়ে ক্রিকেটকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে এটাকে বৈশ্বিক মানে তুলতে কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি।’
আইসিসি সভাপতি জয় শাহ বলেন, ‘আইসিসির সিইও হিসেবে সানযোগ গুপ্তাকে নিয়োগ দিতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত। তিনি ক্রীড়া নীতি ও ক্রীড়া বাণিজ্যে অসামান্য অবদান রেখেছেন, যে অভিজ্ঞতা আইসিসির কাছে অমূল্য। বিশ্ব ক্রীড়া সম্পর্কে তার ধারণা অসীম। তাকে নিয়ে আমরা প্রথাগত সীমার বাইরে গিয়ে কাজ করতে চাই।’