ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরে নাও থাকতে পারে আইপিএল-পিএসএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি

ছবি: আইপিএল

অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও ইংল্যান্ডের চাওয়ায় ২০০৯ সালে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে মাঠে গড়ায় চ্যাম্পিয়নস লিগ টি–টোয়েন্টি। তবে আইপিএলের মতো আগ্রহ তৈরি করতে না পারায় ২০১৪ সালের পর থেকে টুর্নামেন্টটি আর আয়োজন করা হয়নি। তবে এক দশকের বেশি সময় পর আবারও একই ধরনের টুর্নামেন্ট আয়োজনে আগ্রহী হয়ে উঠেছে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) ও ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।
সেপ্টেম্বরে বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়োগ, অক্টোবরে ড্রাফট
২ জুলাই ২৫
রাষ্ট্রায়ত্ত ক্রীড়া বিনিয়োগকারী সংস্থা এসআরজে স্পোর্টস ইনভেস্টমেন্টসের বিনিয়োগে নতুন টি-টোয়েন্টি লিগ আয়োজন করতে চায় সৌদি আরব। ৬ হাজার কোটি টাকার লিগে অস্ট্রেলিয়ার আগ্রহ থাকলেও শুরুতেই সাফ না করে দিয়েছে বিসিসিআই ও ইসিবি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সৌদি আরবের লিগকে রুখতেই বিশ্ব ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইংল্যান্ড ও ভারত।

২০২৬ সালে টুর্নামেন্টটি চালু করতে জুনে বেশ কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের প্রধান নির্বাহীকে আমন্ত্রণ জানায় তারা। যেখানে বিগ ব্যাশ, দ্য হান্ড্রেড, ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএএল), মেজর লিগ ক্রিকেট (এমএলসি) ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টির প্রধান নির্বাহীরা ছিলেন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ও পিএসএলের কোন প্রতিনিধি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।
জিও নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পিএসএলের প্রধান নির্বাহীকে পাঠাতে পিসিবি বরাবর আমন্ত্রণ পত্র দিয়েছিল তারা। তবে সেই বৈঠকে যেতে আগ্রহ দেখায়নি পাকিস্তান। ধারণা করা হচ্ছে, আগ্রহ না দেখানোয় টুর্নামেন্টের প্রথম আসর থেকে বাদ দেয়া হতে পারে পিএসএল চ্যাম্পিয়নদের। জুনে লন্ডনে হওয়া বৈঠকে টুর্নামেন্টের অবকাঠামো, সূচি এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, বিসিসিআইয়ের অনুমতি থাকলেও বিশ্ব ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরে নাও দেখা যেতে পারে আইপিএলের চ্যাম্পিয়নদের। পাঁচ দলের টুর্নামেন্টে বিপিএলের চ্যাম্পিয়নরা সুযোগ পাবে কিনা সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। লন্ডনের বৈঠকে না বিপিএলের কেউ না থাকায় ধারণা করা হচ্ছে বাংলাদেশের টুর্নামেন্টের ফ্র্যাঞ্চাইজিরাও প্রথম আসর মিস করতে পারে।