আইপিএলের সাথেই শুরু হবে পিএসএল, বিদেশি ক্রিকেটার নিয়ে শঙ্কা

ছবি: ফাইল ছবি

কাশ্মীরের পেহেলগামের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানে হামলা চালায় ভারত। প্রতিশোধ নিতে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় হামলা করে পাকিস্তানও। দুই দেশের এমন উত্তেজনায় একটা পর্যায়ে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়। ভারতের পক্ষ থেকে রাওয়ালপিন্ডিতে ড্রোন হামলা চালালে এক প্রকার বাধ্য হয়েই পিএসএল স্থগিতের ঘোষণা দেয় পিসিবি। যদিও প্রাথমিকভাবে করাচি কিংবা সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাকি অংশ আয়োজন করতে চেয়েছিল তারা।
রাওয়ালপিন্ডিতে হতে পারে পিএসএল
১১ মে ২৫
যদিও তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সবার নিরাপত্তার কথা ভেবে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয় পাকিস্তানের টুর্নামেন্টটি। তবে একদিন পরই যুদ্ধ বিরতির ঘোষণা দেয়ায় আবারও পিএসএল চালু করতে কাজ করছে পিসিবি। সোমবার (১২ মে) টুর্নামেন্ট শুরুর তারিখ ও ভেন্যু নিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে আলোচনা করতে সভার আয়োজন করে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।

যেখানে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে বিদেশি ক্রিকেটারদের পাওয়ার ব্যাপার নিয়ে। ইএসপিএন ক্রিকইনফোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেশিরভাগ বিদেশি ক্রিকেটারই পিএসএলের বাকি অংশ খেলতে পাকিস্তানে ফিরতে আগ্রহী নয়। যার ফলে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজির স্কোয়াডে বড় একটা প্রভাব ফেলতে পারে। যদিও বেশ কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি তাদের বিদেশি ক্রিকেটারদের পাওয়া নিয়ে আত্মবিশ্বাসী।
আমরা প্রস্তুত, বাকিটা বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে—পাকিস্তান সফর নিয়ে সালাহউদ্দিন
১১ মে ২৫
কেউ যদি না আসে তখন তাদের বিকল্প নিতে রিপ্লেমেন্ট ড্রাফট আয়োজনের পরিকল্পনা করছে পিসিবি। তবে ভালো মানের ক্রিকেটার পাওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। কারণ বেশিরভাগ ভালো মানের ক্রিকেটারই ইতোমধ্যে আইপিএল ও পিএসএলের সঙ্গে চুক্তি করেছে। সব মিলিয়ে ১২০ কিংবা ১৩০ জন বিদেশি ক্রিকেটার দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের সঙ্গে যুক্ত আছেন।
লজিস্টিক ব্যাপারগুলো নিয়েও ভাবতে হচ্ছে তাদের। ১৮ মে বিভিন্ন লজিস্টিক দলের সঙ্গে পিসিবির চুক্তি শেষ হয়ে যাবে। বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির বেশ কয়েকটি স্টেকহোল্ডার জানিয়েছে, বিদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে আসা পিসিবির জন্য কঠিন হবে। এদিকে পিএসএল ১০ দিন পিছিয়ে গেলে প্রভাব পড়বে বাংলাদেশ সিরিজেও। কারণ ২৫ মে থেকে বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার কথা রয়েছে পাকিস্তানের।