গত বছরই অধিনায়ক হওয়ার ইঙ্গিত পেয়েছিলেন রজত

ছবি: নেতৃত্বের দায়িত্ব পাওয়ার মুহূর্তে রজত পতিদার (ডান থেকে দ্বিতীয়), ফাইল ফটো

গত বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুতে টিম ডিরেক্টর মো বোবাট, প্রধান কোচ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার এবং রজতের উপস্থিতিতে একটি অনুষ্ঠানে বেঙ্গালুরু ফ্র্যাঞ্চাইজি নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করে। পাশাপাশি নিজেদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজেও এমনটা জানায় তারা।
আইপিএলে বেঙ্গালুরুর নতুন অধিনায়ক রজত পাতিদার
১৩ ফেব্রুয়ারি ২৫
নেতৃত্বের ব্যাপারে রজত বলেন, ‘গত মৌসুমে আমার মনে হয় বেঙ্গালুরুর ডিরেক্টর অব ক্রিকেটের (মো বোব্যাট) সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। মো জানতে চেয়েছিল, অধিনায়কত্বে আমার আগ্রহ আছে কি না। আমি তাকে বলেছিলাম, আরসিবির হয়ে অধিনায়কত্ব করার আগে আমি রাজ্য দলকে নেতৃত্ব দিতে চাই। সেখানে থেকেই ইঙ্গিত পাই যে আমি অধিনায়কত্ব পেতে পারি।’
২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক ছিলেন ফাফ দু প্লেসি। যদিও সাউথ আফ্রিকার সাবেক এই ক্রিকেটারকে এবারের নিলামের আগে ছেড়ে দেয় বেঙ্গালুরু ফ্র্যাঞ্চাইজি। এমনকি নিলামেও তার প্রতি আগ্রহ দেখায়নি ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।

এরপর মিডিয়ায় জোর গুঞ্জন ছিল বিরাট কোহলি আবারও আরসিবির নেতৃত্ব দেবেন! কোহলি নিজেও বলেছিলেন আগামী তিন বছরের মধ্যে অন্তত একবার আইপিএল শিরোপা ছুঁয়ে দেখবেন তিনি। যদিও অধিনায়ক হিসেবে আর শিরোপা ছোঁয়া হচ্ছে না তার।
আইপিএলের পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ, ফাইনাল কলকাতায়
১৬ ফেব্রুয়ারি ২৫
২০২১ সালে ফ্র্যাঞ্চাইজিতে যোগদানের পর থেকে রজত ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে তিনটি মৌসুম খেলেছেন। দলটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটার হিসেবে আত্মপ্রকাশও করেছেন তিনি। ২৮ ম্যাচে ১৫৮.৮৫ স্ট্রাইক রেটে ৭৯৯ রান আসে তার ব্যাটে।
নভেম্বরে মেগা নিলামের আগে বেঙ্গালুরু যে তিনজন খেলোয়াড়কে ধরে রাখে, তার মধ্যে ৩১ বছর বয়সী রজতও ছিলেন একজন। আইপিএলে এটি তার প্রথম অধিনায়কত্বের অভিজ্ঞতা হলেও, তিনি ২০২৪-২৫ মৌসুমে ২০ ওভারের সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফি এবং ৫০ ওভারের বিজয় হাজারে ট্রফিতে তার রাজ্য দল মধ্যপ্রদেশের অধিনায়কত্ব করেন।
ঘরোয়া ক্রিকেটে দুই দলেই প্রথমবারের মতো পূর্ণকালীন অধিনায়ক ছিলেন তিনি। এর মধ্যে সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে ৯ ইনিংসে ৬১.১৪ গড়ে এবং ১৮৬.০৮ স্ট্রাইক রেট নিয়ে তিনি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন। আর বিজয় হাজারে ট্রফিতে রজত ৫৬.৫০ গড়ে এবং ১০৭.১০ স্ট্রাইক রেট নিয়ে ২২৬ রান করেছিলেন।
আরসিবি এখনও আইপিএল শিরোপা জিতেনি। যদিও তারা তিনবার ফাইনালে উঠেছে। যার মধ্যে শেষটি ছিল ২০১৬ সালে। দলটি গত পাঁচটি মৌসুমের মধ্যে চারটিতেই প্লে-অফে উঠেছে। ২০২৪ সালেও উঠেছে। এরপর এলিমিনেটরে বাদ পড়ে তারা।