promotional_ad

‘দৌড়াতে না পারা’ আলিসেই ভরসা ছিল চিটাগংয়ের

চিটাগং কিংসকে ফাইনালে তুলে ম্যাচসেরা আলিস আল ইসলাম, ক্রিকফ্রেঞ্জি
হাসান মাহমুদের অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট ডেলিভারিতে পুল করে ডিপ মিড উইকেটের ওপর দিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে মোহাম্মদ মিঠুন যখন ফিরলেন চিটাগং কিংসের তখনও ১৮ বলে প্রয়োজন ৩৪ রান। অধিনায়ক ফিরতেই শেষ হয়ে যায় বিশেষজ্ঞ ব্যাটারের কোটা। এমন অবস্থায় আরাফাত সানি কিংবা আলিস আল ইসলামরা চিটাগংকে ফাইনালে তুলবেন সেটা হয়ত বেশিরভাগ মানুষই ভাবেনই। অথচ সেই অবিশ্বাস্য সমীকরণই মিলিয়েছেন তারা দুজন।

promotional_ad

ইনিংসের ১৮তম ওভারে জেসন হোল্ডারকে ছক্কা-চার মেরে সমীকরণ সহজ করে নিয়ে আসেন আলিস। পরের ওভারে ৬ রান দিলে শেষ ৬ বলে চিটাগংয়ের প্রয়োজন হয় ১৫ রান। মুশফিক হাসানের ডিপ মিড উইকেট দিয়ে চার মেরে শুরুটা করেছিলেন সানি। পরের বলে মিড অফে ঠেলে দিয়ে নিয়েছেন ২ রান। তৃতীয় ডেলিভারিতে লং অনে খেলে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যান আলিস। 


আরো পড়ুন

আবারও আলিসের বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ

২২ জানুয়ারি ২৫
চিটাগং কিংসের হয়ে দারুণ ছন্দে আছেন আলিস আল ইসলাম, ক্রিকফ্রেঞ্জি

পায়ে ব্যথা পাওয়া মাঠ ছেড়ে চলে যান তিনি। এমন সময় ব্যাটিংয়ে এসে নিজের খেলা প্রথম বলেই ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে চার মেরে চিটাগংয়ের কাজটা সহজ করে নিয়ে আসেন শরিফুল ইসলাম। যদিও পরের বলেই স্লোয়ার ডেলিভারিতে শরিফুলকে ফিরতে হয়েছে হোল্ডারকে ক্যাচ দিয়ে। তখনও ম্যাচ জিততে শেষ বলে ৪ রান প্রয়োজন ছিল চিটাগংয়ের। 


এমন সময় আবারও ব্যাটিংয়ে পাঠানো আলিসকে। টিম ম্যানেজমেন্টের সদস্যরা প্যাড পড়িয়ে আলিসকে মাঠে নামতে সহায়তা করছিলেন। পরবর্তীতে ব্যাটিংয়ে এসে মুশফিকের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে এক্সট্রা কভারের উপর দিয়ে চার মেরে চিটাগংয়ের ২ উইকেটে জয় নিশ্চিত করেন। সেই অবিশ্বাস্য সমীকরণ মিলিয়ে ১১ বছর বিপিএলে ফেরা দলকে ফাইনালে তোলেন। 



promotional_ad

ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে আলিস জানান, দৌড়াতে পারবেন না বলেই সেই সময় উঠে চলে গিয়েছিলেন। ৫৭ রানের ইনিংস খেলা খাওয়াজা নাফে সংবাদ সম্মেলনে এসে জানিয়েছেন, যেহেতু শেষ বলে দৌড়ে রান নিতে হতো না তাই আলিসই তাদের কাছে সেরা এবং শেষ অপশন ছিল। রান না নিয়ে চার মারো আলিসকে এমন বার্তা দিয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট।


আরো পড়ুন

হোল্ডারের কাছ থেকে এমন বোলিং আশা করিনি: মিরাজ

৩ ঘন্টা আগে
চিটাগংয়ের বিপক্ষে ম্যাচের সময় মিরাজ, ক্রিকফ্রেঞ্জি

এ প্রসঙ্গে নাফে বলেন, ‘(কোচ) শন (টেইট) ওর কাছে জানতে চেয়েছে ‘তুমি কেন চলে এসেছ’। সে বলেছে ‘পায়ে ব্যথা পেয়েছি’। ব্যথার কারণে সে দৌড়ে রান নিতে পারত না। এ জন্য সে ফিরে আসে। শরিফুল চার মেরে আউট হয়ে যায়। এরপর আমাদের হাতে কেবল আলিসই অপশন ছিল। তাকে বলা হয়েছিল, (মাঠে) গিয়ে রান না নিয়ে চার মারো। কারণ, শেষ বলে ওটাই দরকার ছিল। দুই রান নেয়ার প্রয়োজন ছিল না। 


আলিসের ওপর কতটা ভরসা ছিল সেটা অবশ্য খানিকটা টের পাওয়া যায় শেষ বলের আগে তাকে প্রস্তুত করার জন্য টিম ম্যানেজমেন্টের চেষ্টায়। ডাগ আউটে বিনুরা ফার্নান্দো থাকলেও তাড়াহুড়ো করে আলিসকে প্রস্তুত করে ব্যাটিংয়ে পাঠায় চিটাগং। নাফে জানিয়েছেন, আগের কয়েক ম্যাচে এক-দুই রান করে নিতে পারায় দলের পুরো বিশ্বাস ছিল আলিসের ওপর।



তিনি বলেন, ‘আলিসের ওপর দলের পুরো ভরসা ছিল। কারণ, গত কয়েক ম্যাচে সে এক-দুই রান করে নিয়েছে। এ জন্য তার ওপর আমাদের ভরসা ছিল যে চার অথবা ছক্কা মেরে দিতে পারে। ভরসা ছিল আলিস পারবে।’



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball