মেয়ার্সের শেষ ওভারে ৩০ রান নিয়ে রংপুরকে জেতালেন সোহান
ছবি: মেয়ার্সের শেষ ওভারে ৩০ রান নিয়ে রংপুরকে জেতালেন সোহান, ক্রিকফ্রেঞ্জি
শুরুতে তামিম ইকবাল এবং নাজমুল হোসেন শান্তর ৮১ রানের জুটি, এরপর কাইল মেয়ার্সের বিধ্বংসী ইনিংস এবং ফাহিম আশরাফের ছোটো ক্যামিওতে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে পাঁচ উইকেটে ১৯৭ রান সংগ্রহ করে ফরচুন বরিশাল। জবাবে ইফতিখার আহমেদের ৩৬ বলে ৪৮ এবং খুশদিল শাহের ২৪ বলে ৪৮ রানের ইনিংসে এবং সোহানের সাত বলে অপরাজিত ৩২ রানের ইনিংসে তিন উইকেট হাতে রেখে জিতে যায় রংপুর।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই এক রানে ফিরে যান অ্যালেক্স হেলস। পাওয়ার প্লেতে রংপুর তোলে এক উইকেটে ৩৪ রান। এরপর ১৯ বলে ২২ রান করে ফিরে যান সাইফ হাসানও। রয়ে সয়ে শুরু করলেও ধীরে ধীরে আগ্রাসী হতে থাকেন তৌফিক খান তুষার। পাওয়ার প্লে'র পরের সময়টায় তিনটি ছক্কা হাঁকান তিনি। সঙ্গে আরও তিনটি চারে ২৮ বলে ৩৮ রান করে ফিরে যান ঘরোয়া ক্রিকেটের এই নিয়মিত পারফর্মার।
ইফতিখার আহমেদ এবং খুশদিল শাহের ব্যাটে পরের সময়টা নিরাপদেই পার করে রংপুর। ১২.৩ ওভারে দলীয় শতরান পূরণ করে রংপুর। ১৮তম ওভারে ইফতিখার এবং ১৯তম ওভারে খুশদিল ফিরে গেলে শেষ ওভারে জয়ের জন্য ২৬ রান লাগতো রংপুরের। সেখান থেকে দল জেতান সোহান। ম্যাচসেরার পুরষ্কারও জিতে নেন রংপুরের অধিনায়ক।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে সাবধানী সূচনা করেন তামিম। শেখ মেহেদীর প্রথম ওভার মেইডেন দেন তিনি। তার সঙ্গী নাজমুল হোসেন শান্ত কিছুটা আগ্রাসী ছিলেন। দুজনে মিলে পাওয়ার প্লে'তে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন। তাদের দারুণ ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লে'তে বিনা উইকেটে ৪৬ রান করে বরিশাল।
পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পরের ওভারেই জুটির পঞ্চাশ পূরণ করেন তামিম-শান্ত। ৮১ রানে ভাঙে বরিশালের ওপেনিং জুটি। ১১তম ওভারে কামরুল ইসলাম রাব্বি প্রথমবার আক্রমণে এসে শান্ত এবং তামিমকে বিদায় করেন।তার চতুর্থ স্টাম্প তাক করা তার প্রথম বলে মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে ভুল করেন শান্ত। এক্সট্রা কভারে খুশদিল শাহকে ক্যাচ দেয়ার আগে ৩০ বলে ৪১ রান করেন তিনি।
এরপর উইকেটে এসেই প্রথম বলে ছক্কা হাঁকান কাইল মেয়ার্স। সেই ওভারের শেষ বলে মিড অফে অ্যালেক্স হেলসকে সহজ ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তামিম। চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ৩৪ বলে ৪০ রান আসে তামিমের ব্যাটে। এই বলের আগের দুটি বলেও প্রায় ক্যাচ তুলে দিচ্ছিলেন তামিম। পরের দুই ওভারে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও নাহিদ রানা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বোলিং করলেও ১৬তম ওভারে ২২ রান দেন রাব্বি। এরপরের ওভারে দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন আকিফ জাভেদ।
তার লেংথ ডেলিভারিতে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তাওহীদ হৃদয়। ১৮ বলে ২৩ রান করেন তিনি। দ্রুত রান তোলার মিশনে ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। ১৮তম ওভারে সাইফউদ্দিনের স্লোয়ারে পুল করতে গিয়ে ডিপে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনি। শেষদিকে ফাহিম আশরাফের ছয় বলে দুই ছক্কা ও একটি চারে ২০ রানের ইনিংসে ১৮০ রানের গণ্ডি পার হয় বরিশাল। একটি চার ও সাতটি ছক্কার ইনিংসে শেষ ওভারে ২৭তম বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন মেয়ার্স।