'ভারত ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তারা জোচ্চর'

ছবি:

২০১৪ সালেই লোলিত মোদিকে ভারতীয় ক্রিকেটের সবধরনের কার্যকলাপের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। মোদির নিষেধাজ্ঞার পরের মাসেই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিলো তার অধীনে থাকা রাজস্থান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েসনকে (আরসিএ)।
তবে, তিন বছর পরে এসে বিসিসিআই রাজস্থান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েসনের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে নিলেও মোদির উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা হয়। এমনকি, আরসিএর সাবেক সভাপতি যদি অ্যাসোসিয়েসনটির নতুনভাবে কোন ধরনের সম্পৃক্ততা তৈরি করে সেটিও শাস্তির আওতায় আনা হবে।
সোমবার দিল্লীতে বিসিসিআইয়ের বিশেষ মিটিং শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করে ভারত ক্রিকেট বোর্ড। তবে বিসিসিআইয়ের সভা শেষে এইরকম কথা-বার্তায় বেশ ক্ষেপেছেন সাবেক ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) কমিশনার মোদি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় দেশের বাইরে থাকা মোদি। এক টুইটে আইপিএলকে নিজের তৈরি অবকাঠামো বলে হুঙ্কার দেন সাবেক এই আইপিএল নীতিনির্ধারক। এমনকি বিসিসিআইয়ের বর্তমান কর্মকর্তাদের জোচ্চর ও ভীত বলেও সম্বোধন করেন তিনি।
সোমবার রাতে এক টুইটে লোলিত মোদি বলেন, 'এটা খুবই নান্দনিক বিষয়। ৭ বছর ধরে আমি ভারতে নাই। অথচ এখনো বিসিসিআই ও আপিএলের পেশাদার জোচ্চর আমার নামে ভীত। এমনকি তারা ভারতে আমার তৈরিকৃত আইপিএল থেকে ফায়দা লুটছে। শুভ কামনা সেসব জোকারদের যারা একদিন কাজ না করেও অন্যের তৈরি অবকাঠামো থেকে মজা নেয়।'
২০১৪ সালের এপ্রিলে বিসিসিআই কর্তৃক ক্রিকেটের সবধরনের কর্মকাণ্ডে লোলিত মোদির উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। সবমিলিয়ে, মোদির ২২টি অসাধু বিষয় সামনে এনে তার বিষয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত ক্রিকেট বোর্ড।
কাউন্সিলের সদস্যদের মতামত ব্যতীত সিদ্ধান্ত নেওয়া, নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করা, অবৈধভাবে টিভি স্বত্ব বিক্রয় করা, টাকা কালো বাজারীকরন ইত্যাদি তার অবৈধ কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য।