ম্যাচ হেরে মিরপুরের উইকেটের সমালোচনা করলেন সালমান

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

সবশেষ কদিনে বিরতি দিয়ে হওয়া বৃষ্টির কারণে বেশিরভাগ সময়ই উইকেট ঢেকে রাখতে হয়েছে গ্রাউন্ডসম্যানদের। শ্রীলঙ্কায় সিরিজ জিতে লিটন দাস মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, বৃষ্টির সময়টায় উইকেট কেমন হবে সেটা নিয়ে সংশয়ে আছেন তিনিও। মিরপুরের চিরচেনা উইকেটে ব্যাটাররা ব্যর্থ হতে পারেন সেই ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছিলেন তিনি। যদিও পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগে স্পোর্টিং উইকেটই চেয়েছিলেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।
বাংলাদেশকে হারানোর পরিকল্পনায় পাকিস্তানের ভরসা বিপিএল খেলা ক্রিকেটাররা
১৯ জুলাই ২৫
মাঠে অবশ্য সেটার প্রতিফলন দেখা যায়নি। প্রথম ম্যাচে তাসকিন আহমেদ, শেখ মেহেদী, মুস্তাফিজুর রহমান ও তানজিম হাসান সাকিবদের বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি পাকিস্তানি ব্যাটাররা। মিরপুরের ধীরগতির উইকেটে মুস্তাফিজ বরাবরই ভয়ঙ্কর। উইকেট কতটা কঠিন ছিল সেটা বোঝা যাবে বাঁহাতি পেসারের একটা কাটার ডেলিভারিতে একেবারে নিচু হয়ে যাওয়া দেখে।
লিটন ব্যাটারদের ব্যর্থতার যেই ভয়ের কথা বলেছিলেন সেটাই হয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গে। বাংলাদেশের পেসারদের দারুণ বোলিংয়ে মাত্র ১১০ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। রান তাড়ায় দ্রুত লিটন ও তানজিদ হাসান তামিমের উইকেট হারালেও তাওহীদ হৃদয় ও পারভেজ হোসেন ইমনের ব্যাটে ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ৯ বছর পর বাংলাদেশের কাছে হেরে উইকেটের সমালোচনা করলেন সালমান।

‘ওরা হয়ত মানিয়ে নিতে পারেনি’ হেসনের সমালোচনার জবাবে ইমন
৮ ঘন্টা আগে
বাংলাদেশে এসে ভালো উইকেট যে পাওয়া যায় না সেটাও মনে করিয়ে দিলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণীতে সালমান বলেন, ‘আপনি যখনই বাংলাদেশে আসবেন তখন এ ধরনের উইকেটই প্রত্যাশা করবেন। বাংলাদেশে আপনি খুব কম সময়ই ভালো উইকেট পাবেন। যেটা বললাম আমরা এটা নিয়ে নিজেদের মাঝে আলোচনা করব।’
মাত্র ১১০ রানে গুটিয়ে যাওয়ায় পাকিস্তানি বোলারদের খুব বেশি কিছু করার ছিল না। যদিও নিজের প্রথম দুই ওভারে তানজিদ ও লিটনের উইকেট তুুলে নিয়ে বাংলাদেশকে চাপে ফেলে দিয়েছিলেন সালমান মির্জা। তবে তৃতীয় উইকেটে ৭৩ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন হৃদয় ও ইমন। তাদের দুজনের ব্যাটেই জয়ের ভিত পায় বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সালমান।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা যথেষ্ঠ রান করতে পারিনি। আমরা ভালো শুরু করেছিলাম কিন্তু পরবর্তীতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকি। আমরা বসে এটা নিয়ে আলাপ করব এবং পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করব।’
বোলারদের পারফরম্যান্স নিয়ে সালমান বলেন, ‘আমার মনে হয় তারা ভালো বোলিং করেছে। আপনার যখন রানই কম থাকবে তখন ভুল করার জায়গাটা খুবই কম। জয়-পরাজয় তো থাকবেই। কিন্তু আমাদের স্কিল নিয়ে কাজ করে যাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।’