করোনায় চাকরি হারালেন ১১ ভারতীয় কোচ

ছবি: ছবি- সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
করোনাকালে আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছে বিশ্বের বেশিরভাগ ক্রিকেট বোর্ড। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয় বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়াও (বিসিসিআই)। ক্ষতি পোষানোর জন্য বিশ্বের অন্যতম ধনী এই ক্রিকেট বোর্ড ১১ জন একাডেমি কোচের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের পাদপ্রদীপের আলোয় উঠিয়ে নিয়ে আসা থেকে শুরু করে তাদের সঠিক পরিচর্যার বিষয়গুলো দেখভালের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল জাতীয় একাডেমির এই কোচদের। কিন্তু আগে থেকে কিছু না জানিয়েই তাঁদের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন না করার ঘোষণা দেয় বিসিসিআই।

ভারতের শীর্ষ সারির সংবাদ মাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তথ্যমতে কোচদের এই সংবাদটি জানিয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির প্রধান এবং সাবেক অধিনায়ক রাহুল দ্রাবিড়। আকস্মিক এই সংবাদে স্বাভাবিকভাবেই বেশ হতাশ এসকল কোচ।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কোচ বলেছেন, 'দুই দিন আগে রাহুল দ্রাবিড়ের কাছ থেকে আমরা সবাই ফোনকল পাই। তিনি আমাদের জানান, আমাদের চুক্তি নবায়ন না করার ব্যাপারে বিসিসিআই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু সে ব্যাপারে আমাদের কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ জানানো হয়নি।'
দ্রাবিড় অবশ্য চেষ্টা করেছিলেন কোচদের চাকরি রক্ষা করতে। কিন্তু তাঁর প্রচেষ্টা ধোপে টেকেনি। সেই কোচের ভাষ্যমতে, 'দ্রাবিড় জানিয়েছেন আমাদের চাকরিতে বহাল রাখার জন্য তিনি অনেক চেষ্টা করেছেন, কিন্তু পারেননি। গত তিন মাস ধরে আমরা একের পর এক ওয়েবিনার করে যাচ্ছি, পরিকল্পনা করছি কোভিড-পরবর্তী সময়ের জন্য। এখন হুট করে আমাদের বলা হল আমাদের চাকরিই নেই।’
বছরের এই সময়টায় প্রায় সব দলই কোচ চূড়ান্ত করে ফেলেছে। ফলে লম্বা সময় বেকারত্ব বরণ করে নেয়া ছাড়া উপায় থাকছে না ভারতের এই একাডেমি কোচদের। চাকরি হারানো আরেকজন কোচ এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘এমন সময় আমাদের চুক্তি নবায়ন করা হচ্ছে না যখন অনেক রাজ্য সংস্থা এর মধ্যে কোচ নিয়োগ করে ফেলেছে। কোভিডের মধ্যে নতুন চাকরি পাওয়াটা সমস্যা হবে আমাদের জন্য।'
এই ১১ জন কোচের মধ্যে ৫ জন এর আগে জাতীয় দলের হয়েও খেলেছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক স্পিনার ঋষিকেশ কানিতকার, রমেশ পাওয়ার, সাবেক ওপেনার শিব সুন্দর দাস, পেসার সুব্রত ব্যানার্জি এবং সুজিত সোমসুন্দর।