শেষ ওভারের রোমাঞ্চ জিতে সিরিজে সমতা আরব আমিরাতের

ছবি: সংযুক্ত আরব আমিরাত

মাঝে তাওহীদ হৃদয় ক্যাচ ফেলে তাকে জীবন দিলে মনে হচ্ছিল সেঞ্চুরিটা হয়েই যাবে ওয়াসিমের। তবে ১৮ রান দূরে থাকতে তাকে জাকের আলী দুর্দান্ত ক্যাচ হয়ে ফিরতে হয় শরিফুল ইসলামের বলে। এরপর বাংলাদেশের বোলাররা যেন একটু ছন্দ ফিরে পান। নিয়মিত বিরতিতে তুলে নেন একের পর এক উইকেট।
বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের স্কোয়াডে পরিবর্তন
১০ ঘন্টা আগে
শুরুর দিকে খরুচে বোলিং করা নাহিদও পরে টানা দুই ওভারে দুটি উইকেট নিয়েছেন। আরব আমিরাতের বাকি ব্যাটারদের মধ্যে জোহাইবের ৩৮ ছাড়া আর কেউ বলার মতো সংগ্রহ করতে পারেননি। তবে শেষ ওভার পর্যন্তই ম্যাচে ছিল আরব আমিরাত। শেষ ৬ বলে তাদের জিততে প্রয়োজন ছিল মাত্র ১৩ রান।
শেষ ওভারে বল করতে আসেন তানজিম হাসান সাকিব। তার অতিরিক্ত রানের ছড়াছড়িতে বাংলাদেশ ম্যাচ হারে ১ বল আগেই। হায়দার আলী শেষ পর্যন্ত ৬ বলে ১৫ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। শেষ ওভারটা ছিল বেশ নাটকীয়। তানজিমের প্রথম ডেলিভারিটা হয় ওয়াইড। হিসাব দাঁড়ায় ৬ বলে ১২।
পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ৫ বলে ১০ রানের সমীকরণ দাঁড় করায় আরব আমিরাত। পরের বলে ৬ মারেন ধ্রুব পরাশর। ফলে ৪ বলে ৪ রানের সহজ সমীকরণ দাঁড় করায় স্বাগতিকরা। তৃতীয় বলে পারশর বোল্ড হলে কিছুটা বিপাকে পড়ে আরব আমিরাত। পরের বলে ১ রান নেন মতিউল্লাহ। ফলে ২ বলে ৩ রান লাগে তাদের জয়ের জন্য।
এই পর্যায়ে এসে নো বল করে বসেন তানজিম। পরের বলে হায়দার আলী ২ রান নিয়ে ১ বল হাতে রেখেই আরব আমিরাতকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। আরব আমিরাতের ২ উইকেটের জয়ে সিরিজটি সমতাতেই শেষ হতে পারত। তবে দুই বোর্ডের সম্মতিতে সিরিজে একটি টি-টোয়েন্টি বাড়ানো হয়েছে। সেই ম্যাচটি হবে ২১ মে।

আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাড়তি একটি টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ
১২ ঘন্টা আগে
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাস। বিশেষ করে ২৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে দারুণ কিছুর বার্তা দিচ্ছিলেন তানজিদ। তবে তার ইনিংস থামে তিন ছক্কা ও ৮ চারে ৩৩ বলে ৫৯ রান করে।
বাঁহাতি ওপেনারের বিদায়ে ভেঙেছে লিটনের সঙ্গে তার ৯০ রানের উদ্বোধনী জুটি। দারুণ শুরু পেলেও শুরু থেকেই হাঁসফাঁস করছিলেন লিটন দাস। স্ট্রাইক রেটের চাপ কমাতে বড় শটের নেশায় ব্যক্তিগত ৪০ রানে আউট হন লিটন। মুহাম্মাদ জাওয়াদউল্লাহর বলে মিড উইকেটে মতিউল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।
এরপর নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস টানেন তাওহীদ হৃদয়। দেড়শ রানে পৌঁছাতে বাংলাদেশকে ১৬ ওভার পর্যন্ত খেলতে হয়। মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে লং অন দিয়ে চার মেরে বাংলাদেশের দেড়শ পূরণ করেন হৃদয়। শান্ত শুরু থেকেই দেখে শুনে খেলছিলেন। তবে তার ইনিংস শেষ হয়েছে ১৯ বলে ২৭ রান করে। জাওয়াদউল্লাহর বলে ধ্রুব পারাসারের হাতে শান্ত ক্যাচ দেন ডিপ পয়েন্টে। তাতেই ১৬৩ রানে বাংলাদেশ হারায় তৃতীয় উইকেট।
শেষদিকে জাকের আলী ৬ বলে ১৮ করে আউট হয়েছেন। ১৯তম ওভারে জাওয়াদউল্লাহর ওপর চড়াও হয়েছিলেন তিনি। সেই ওভারে প্রথম তিন বলে দুটি ছক্কা ও একটি চার মারেন জাকের। লং লেগ দিয়ে ছক্কা মারার পরের বলে এক্সট্রা কাভার দিয়ে মারেন একটি চার। পরের ছক্কাটি মিড উইকেট দিয়ে।
চতুর্থ বলে জাকের মিড অফে তিনি ক্যাচ দেন রাহুল চোপড়ার হাতে। যদিও ২০তম ওভারের প্রথম বলে হৃদয় ছক্কা মারার চেষ্টাতে টপ এজ হয়ে বোলার সগির খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। তিনি ফিরলেও দুশ পেরুনো সংগ্রহ এনে দিয়েছেন রিশাদ হোসেন ও শামীম পাটোয়ারি। রিশাদ ২ বলে ২ ও শামীম ৫ বলে ৬ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন।