সাদমানের সেঞ্চুরির দিনে শেষ বিকেলে বিবর্ণ বাংলাদেশ

ছবি: চার বছর পর সেঞ্চুরি পেয়েছেন সাদমান ইসলাম, ক্রিকফ্রেঞ্জি

৯ উইকেটে ২২৭ রান নিয়ে খেলতে নামা জিম্বাবুয়েকে দিনের প্রথম বলেই অল আউট করার পর সাদমান এবং এনামুল হক বিজয়ের ব্যাটে ইতিবাচক সূচনা পায় বাংলাদেশ। ১৩.৪ ওভারে বিনা উইকেটে ৫০ রান করে স্বাগতিকরা। দেখতে দেখতে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সাদমান, ৭৮ বলে এই কীর্তি গড়েন তিনি। তার হাফ সেঞ্চুরির পর ২৫.১ ওভারে দলীয় শতরান তুলে নেয় বাংলাদেশ।
মিরাজ-তাইজুলের ব্যাটে বড় লিডে চোখ বাংলাদেশের
১ ঘন্টা আগে
২০২২ সালের ডিসেম্বরের পর এবারই প্রথম টেস্টের ওপেনিং জুটিতে শতরান রান তুলতে পারে বাংলাদেশ। মাঝে ৩৩ ইনিংসে ওপেনিং জুটিতে শতরান পায়নি দলটি। মধ্যাহ্নভোজ বিরতির পর দলীয় ১১৮ রানে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি ভাঙে। ব্লেসিং মুজারাবানির বলে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হন বিজয়। তার অফ স্টাম্প ঘেঁষা লেংথ ডেলিভারির লাইনে যেতে পারেননি বিজয়। বলটি ব্যাটের কানা মিস করে পেছনের পায়ে আঘাত হানে। রিভিউ নিয়েও অবশ্য লাভ হয়নি তার। ৮০ বলে ৩৯ রান আসে তিন বছর পর টেস্ট দলে খেলা বিজয়ের ব্যাটে।
বিজয় ফিরলেও মুমিনুল হকের সঙ্গে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ঠিকঠাক রাখেন সাদমান। দেখতে দেখতে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিও তুলে নেন বাংলাদেশের এই ওপেনার। এ দিন শুরু থেকে ইতিবাচকভাবে খেলা সাদমান ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটি পান ১৪২ বলে। ৪১.৫ বলে দলীয় দুইশ রান তুলে নেয় বাংলাদেশ।
সাদমানের সঙ্গে বেশ ভালোভাবেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিলেন মুমিনুল হক। যদিও ৫৪তম ওভারে দলীয় ১৯৪ রানে ফিরে গেছেন এই দুজনই। ওয়েলিংটন মাসাকাদজার ফ্লাইটেড ডেলিভারিতে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ তুলে দেন মুমিনুল। ফেরার আগে ৩৩ রান আসে তার ব্যাটে। ব্রায়ান বেনেটের করা পরের ওভারের প্রথম বলে ফিরে যান সাদমানও। বেনেটের ফ্লাইটেড ডেলিভারিতে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হন লম্বা সময় পর সেঞ্চুরি পাওয়া এই ব্যাটার। ১৮১ বলে ১৬টি চার এবং একটি ছক্কায় ১২০ রান আসে সাদমানের ব্যাটে।

এক ম্যাচ দেখে যারা সমালোচনা করে তারা খেলা বোঝে না: তাইজুল
২৮ এপ্রিল ২৫
৫৬.১ ওভারে মুশফিকুর রহিমের ছক্কায় দুইশ রান পার করে বাংলাদেশ। সেই ওভার শেষেই চা-বিরতিতে যায় দুই দল। তখন বাংলাদেশের রান ছিল তিন উইকেটে ২০৫। এই দুজনের ব্যাটে ৬২.২ ওভারে জিম্বাবুয়ের রান ছাড়িয়ে যায় বাংলাদেশ। ৬৮ ওভারে শান্তর চারে আড়াইশ পার করে বাংলাদেশ। ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন মুশফিক এবং শান্ত। যদিও দলীয় ২৫৯ রানে ভাঙে তাদের ৬৫ রানের জুটি। ভিনসেন্ট মাসেকেসার অফ স্টাম্পের বাইরে ঝুলিয়ে দেওয়া বলটি একটু দেরি করে শান্তর সামনে পড়েছিল। স্পিন করে তার দিকে বলটি যাওয়ার সময় সেই বলে শর্ট মিড উইকেটে নিক ওয়েলচকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। বাংলাদেশ অধিনায়ক করেন ৫৪ বলে ২৩ রান।
৭৫তম ওভারে আবারো উইকেট নেন মাসেকেসা। তার ডেলিভারিটি জাকের আলী অনিক লেগ সাইডে খেলতে চাইলেও ব্যাটে বলে টাইমিং করতে না পারায় সেটি বোলারের দিকেই চলে যায়। ক্যাচটি অনায়সেই ধরে নেন বোলার নিজেই। ১৩ বলে পাঁচ রান করেন জাকের। ২৬৭ রানে পাঁচ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৭৭তম ওভারে আবারও উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মাসেকেসার বলটি লেগ সাইডে ঠেলে দিয়ে দ্রুতগতিতে সিঙ্গেল নিতে যান মুশফিক। যদিও ওয়েসলি মাধেভেরের দারুণ থ্রো'তে স্টাম্প ভাঙায় রানআউট হন তিনি।
এই সিঙ্গেলসের কোনো প্রয়োজন ছিল না। অনেকটা দায়িত্বহীনতায় নিজের উইকেট বিলিয়ে দেন ভালো খেলতে থাকা মুশফিক। ৫৯ বলে ৪০ রান আসে তার ব্যাটে। ২৭৪ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ২৩ বলে তিন রান করা নাঈম হাসানকেও ফেরান মাসেকেসা। ৩৭ বলে ১৬ রান নিয়ে দিনটি শেষ করেন মিরাজ। ১১ বলে পাঁচ রানে অপরাজিত ছিলেন তাইজুল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
জিম্বাবুয়ে (প্রথম ইনিংস)- ২২৭/১০ (৯০.১ ওভার) (ওয়েলচ ৫৪, উইলিয়ামস ৬৭; তাইজুল ৬/৬০, নাঈম ২/৪২)
বাংলাদেশ (প্রথম ইনিংস)- ২৯১/৭ (৮৭ ওভার) (সাদমান ১২০, বিজয় ৩৯, মুমিনুল ৩৩, শান্ত ২৩, মুশফিক ৪০; মাসেকেসা ৩/৪৪)