পাকিস্তান - ইংল্যান্ড সিরিজ

সাজিদের স্পিনে জাদুতে জয়ের স্বপ্ন দেখছে পাকিস্তান

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
Publish Date: 22:39 Thursday, October 17, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

ব্যক্তিগত ৪ ও ৬ রানে জেমি স্মিথ ও জো রুটকে ক্যাচ দিয়ে জীবন পেয়েছিলেন সালমান আলী আঘা। ব্রাইডান কার্সের বলে ফেরার আগে সালমান খেলেছেন ৬৩ রানের ইনিংস। পাকিস্তান যোগ করেছে প্রায় একশ রান। সালমানের এমন ইনিংসের আগে ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দেয়ার কাজটা সেরেছেন সাজিদ খান। ডানহাতি স্পিনারের জাদুতে শেষ ৮০ রানে ৮ উইকেট হারিয়েছে সফরকারীরা। ২৯৭ রান তাড়ায় নামা বেন ডাকেটকে ফিরিয়ে পাকিস্তানের কাজটা আরও সহজ করে দিয়েছেন সাজিদ। ম্যাচ জিততে শেষ দুই দিনে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ২৬১ রান। বিপরীতে ইংল্যান্ডের ৮ ব্যাটারকে ফেরাতে পারলেই লম্বা সময় পর ঘরের মাঠে টেস্ট জেতার সুযোগ হবে শান মাসুদের দলের।

মুলতানে জয়ের জন্য ২৯৭ রান তাড়ায় ইনিংসের তৃতীয় বলেই উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। সাজিদের অফ স্টাম্পের বাইরের ঝুলিয়ে দেয়া ডেলিভারিতে সুইপ করতে চেয়েছিলেন ডাকেট। তবে টপ এজ হয়ে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ক্যাচ দিয়েছেন বাঁহাতি ওপেনার। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা ডাকেট এবার রানের খাতাই খুলতে পারেননি। একটু পর নোমান আলীকে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে উড়িয়ে মারার চেষ্টায় স্টাম্পিং হয়েছেন জ্যাক ক্রলি। শেষ বিকেলে ইংলিশদের আর কোন উইকেট হারাতে দেননি রুট এবং ওলি পোপ। ২ উইকেটে ৩৬ রান নিয়ে চতুর্থ দিন ব্যাটিংয়ে নামবেন তারা দুজন।

ইংল্যান্ডের চেয়ে ৭৫ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে দ্রুতই আব্দুল্লাহ শফিকের উইকেট হারায় পাকিস্তান। বাশিরের লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে উইকেটকিপার স্মিথের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। আম্পায়ার শুরুতে আউট না দিলেও রিভিউ নিয়ে ৪ রান করা শফিককে ফিরিয়েছে ইংল্যান্ড। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি শান। বাশিরের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে এজ হয়ে স্লিপে থাকা পোপের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। পাকিস্তানের অধিনায়ককে ফিরতে হয়েছে ১১ রানে।

লাঞ্চে যাওয়ার আগে সাইম আইয়ুবের উইকেট হারায় পাকিস্তান। বাশিরের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে সামনের পায়ে খেলার চেষ্টায় এজ হয়ে স্লিপে থাকা পোপকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ২২ রানে। ভালো শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি কামরান গুলাম, সাউদ সাকিল এবং মোহাম্মদ রিজওয়ানের কেউ। তাদের তিনজনই ফিরেছেন বিশ পেরোনো ইনিংস খেলে। ১৫৬ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর পাকিস্তানের রান বাড়িয়েছেন সালামান। তাকে সঙ্গ দিয়েছেন ২২ রান করা সাজিদ। পাকিস্তান ২২১ রানে থামলে ইংল্যান্ডের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৯৭ রান। এদিকে সফরকারীদের হয়ে বাশির চারটি, লিচ তিনটি এবং কার্স দুটি উইকেট নিয়েছেন।

এর আগে ৬ উইকেটে ২৩৯ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় দিনের সঙ্গে মাত্র ৫২ রান যোগ করে অল আউট হয় সফরকারীরা। দিনের পঞ্চম ওভারে কার্সকে ফিরিয়েছেন ১০ মাস পর পাকিস্তানের টেস্ট একাদশে সুযোগ পাওয়া সাজিদ। ডানহাতি অফ স্পিনারকে উড়িয়ে মারার চেষ্টায় আউট হয়েছেন তিনি। কার্সকে ফিরিয়ে ৫ উইকেট পূর্ণ করেন তিনি। নিজের পরের ওভারে ম্যাথু পটসের উইকেট তুলে নিয়েছেন পাকিস্তানের এই স্পিনার।

সাজিদের অফ স্টাম্পে পড়ে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারি বুঝেই উঠতে পারেননি পটস। বিশেষজ্ঞ ব্যাটার হিসেবে টিকে থাকা স্মিথ আউট হয়েছেন নোমানকে ছক্কা মারার চেষ্টায়। ইংল্যান্ডের উইকেটকিপার সাজঘরের পথে হেঁটেছেন ২১ রানে। শেষ উইকেটে ২৯ রান যোগ করেছেন লিচ ও বাশির। শেষ পর্যন্ত ২৯১ রানে অল আউট হয় সফরকারীরা। পাকিস্তানের হয়ে ১১১ রানে ৭ উইকেট নিয়েছেন সাজিদ। ১০১ রান খরচায় ৩ উইকেট পেয়েছেন আরেক স্পিনার নোমান।