তানজিমদের হারিয়ে ফাইনালের দৌড়ে টিকে রইল রংপুর রাইডার্স
সংগৃহীত
প্রথম বলে এল বি ডব্লিউ, তৃতীয় বলে ক্যাচ, চতুর্থ বলে ডিরেক্ট ভাঙ্গেন স্টাম্প। নিজের প্রথম ওভারেই তিন উইকেট নিয়ে রংপুর রাইডার্সকে দুর্দান্ত শুরু এনে দিলেন বাংলাদেশি পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি। ফেরান ডুয়ান প্রিটোরিয়াস, মঈন আলী ও শিমরন হেটমায়ারের মতো অভিজ্ঞ ব্যাটারদের। আর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট নিয়ে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেল রংপুর। তানজিম হাসান সাকিবের গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সকে দলটি আটকে দেয় ১০২ রানে। রংপুর পায় ১৫ রানের জয়।
শেষদিকে এসে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজটা করেন রিশাদ। নিজেদের করা ১১৭ রান ডিফেন্ড করতে গিয়ে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা শাই হোপকে ফেরান এই লেগ স্পিনার। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৫ রান করা হোপ বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। আর এতেই নিশ্চিত হয়ে যায় রংপুরের জয়।
গ্লোবাল সুপার লিগে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে মাত্র ১১৮ রানের লক্ষ্য নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নামে গায়ানা। কিন্তু ইনিংসে দ্বিতীয় ওভারেই কামরুল রাব্বির আক্রমনে দিশেহারা হয়ে যায় ক্যারিবিয়ান দলটি। দ্বিতীয় ওভারেই হারায় টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে।
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে হারমিত সিং এর প্রথম বলেই উঠে ক্যাচ। আর তা তালুবন্দী করেন রাব্বি। একই ওভারের শেষ বলে রান আউট হয়ে হাসান খান আউট হলে, রংপুরের মতো গায়ানাও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। ২৭ রানে দলটি হারায় ৫ উইকেট।
গুড়াকেশ মোতি এবং হোপ- দুই ক্যারিবিয়ান জুটি গড়ার চেষ্টা করলেও, শেখ মেহেদীর বলে আউট হন মোতি। কিমো পল নেমেই বাড়িয়ে দেন রানের গতি। তবে তাকেও টিকতে দেননি আগের ওভারেই ক্যাচ মিস করা হারমিত সিং। একই ওভারে আবারও ফেরান ইমরান তাহিরকেও।
এর আগে ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয় গ্লোবাল সুপার লিগে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা রংপুর রাইডার্স। ইনিংসের একেবারে প্রথম বলেই দলটি হারায় ওপেনার স্টিভেন টেইলরের উইকেট। প্রথম ওভারে আরেক ব্যাটার সাইফ হাসানের উইকেটও হারাতে হয় রাইডার্সদের। আর দুই উইকেটই আসে প্রিটোরিয়াসের বলে। নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে এই প্রোটিয়া অলরাউন্ডার ফেরান উইয়েন মেডসেনকেও।
ইনিংসের চতুর্থ ওভার করতে এসে নিজের প্রথম উইকেটটি পান গায়ানার হয়ে খেলা বাংলাদেশি বোলার তানজিম সাকিব। আগের ম্যাচগুলোর মতো এবারও ভাঙেন ব্যাটারের স্ট্যাম্প। নিজের জাতীয় দলের সতীর্থ এবং রংপুরের হয়ে লিগে ফর্মে থাকা সৌম্য সরকারকে সাজঘরে পাঠান মাত্র দুই রানে। অধিনায়ক ইমরান তাহির শেখ মেহেদীকে ফেরালে মাত্র ২৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পরে রংপুর।
খুশদিল শাহ এবং নুরুল হাসান সোহানের ৬১ রানের জুটি কিছুটা হলেও টেনে তোলে রাইডার্সদের। কিন্তু সেই জুটি এসে ভেঙ্গে দেন তানজিম। ৫৮ রান করা খুশদিল ফেরেন তানজিমের বলে ক্যাচ আউট হয়ে। গায়ানার অধিনায়ক ইমরান তাহিরের বলে স্টাম্পিং হয়ে ফেরেন রিশাদ, ১৫ রান করে সোহান আউট হলে অনেকটাই শেষ হয়ে যায় রাইডার্সদের ইনিংস। হারমিত সিং এর ১১ রানে ২০ ওভারে রংপুরের মোট সংগ্রহ দাঁড়ায় ১১৭ রান।
এদিকে বাংলাদেশ সময় আগামীকাল ভোরে পাকিস্তান সুপার লিগের দল লাহোর কালান্দার্সকে হারাতে পারলে ফাইনালেও উঠে যেতে পারে রংপুর। সেক্ষেত্রে ম্যাচ জেতার সঙ্গে রংপুরকে মেলাতে হবে নেট রান রেটের হিসেব। যদিও পাঁচ দলের লিগ পর্বের শেষ ম্যাচ হওয়ায় রংপুরের সেই হিসেব মিলে যাবে সহজেই। এখনও দুটি ম্যাচ বাকি থাকলেও কোনো দলেরই ফাইনালে ওঠা নিশ্চিত হয়নি। কাগজ-কলমে যে কেউই খেলতে পারে ফাইনাল।