১০ হাজার ছোঁয়ার দিনে স্মিথের সেঞ্চুরি, খাওয়াজারও একশ
ছবি: সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়াকে পথ দেখাচ্ছেন স্টিভ স্মিথ ও উসমান খাওয়াজা
গলে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্মিথ। ভারতের বিপক্ষে সবশেষ দুই টেস্টে খাওয়াজার সঙ্গে ওপেন করেছিলেন স্যাম কনস্টাস। তবে সিরিজ শুরুর আগে স্মিথ নিশ্চিত করেছিলেন খাওয়াজার সঙ্গে ওপেনিংয়ে দেখা যাবে ট্রাভিস হেডকে। তরুণ কনস্টাসের জায়গা মেলেনি একাদশে। বছর দুয়েক পর ওপেনিংয়ে নেমেই টি-টোয়েন্টি মেজাজে খেলতে থাকেন হেড।
অস্ট্রেলিয়ার রানের পাহাড়, বিপর্যয়ে শ্রীলঙ্কা
৪ ঘন্টা আগেশ্রীলঙ্কার বোলারদের বিপক্ষে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৩৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। যদিও ব্যক্তিগত ২৩ রানের সময় তাকে ফেরানোর সুযোগ দিয়েছিলেন হেড। তবে সেটা লুফে নিতে পারেনি স্বাগতিকরা। হাফ সেঞ্চুরি করা হেডকে অবশ্য একটু পরই ফিরিয়েছেন। ১০ চার ও এক ছক্কায় ৪০ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলা বাঁহাতি ব্যাটার আউট হয়েছেন জয়াসুরিয়ার বলে লং অন দিয়ে ছক্কা মারার চেষ্টায়।
হেডের বিদায়ে ভাঙে খাওয়াজার সঙ্গে ৯২ রানের উদ্বোধনী জুটি। বাঁহাতি ব্যাটার ফেরার পর প্রথম সেশন শেষের আগে ৭২ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন খাওয়াজা। তিনে নেমে অবশ্য ইনিংস বড় করতে পারেননি মার্নাস ল্যাবুশেন। পেসার আসিথা ফার্নান্দোর বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। ২০ রান করা ল্যাবুশেন ফেরার পর ব্যাটিংয়ে এসে নিজের খেলা প্রথম বলেই ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন স্মিথ।
স্মিথের ১ রান দেখতে ৮৩৫৮ কিলোমিটার পাড়ি
২৯ জানুয়ারি ২৫রিকি পন্টিং, স্টিভ ওয়াহ এবং অ্যালান বোর্ডারের পর অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে ১০ হাজার রান ছুঁয়েছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫তম ব্যাটার হিসেবে এমন কীর্তি গড়েছেন। ১০ হাজার রান করতে ২০৫ ইনিংস লেগেছে ডানহাতি ব্যাটারের। স্মিথের চেয়ে কম ইনিংস খেলে ১০ হাজার রান করার রেকর্ড আছে ব্রায়ান লারা, কুমার সাঙ্গাকারা, শচীন টেন্ডুলকার ও পন্টিংয়ের।
নিজের এমন রেকর্ডের দিনে টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩৫তম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন স্মিথ। দিন শেষে অপরাজিত আছেন ১০৪ রানের ইনিংস খেলে। আরেক ব্যাটার খাওয়াজাও সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন। লম্বা সময় ধরেই বড় ইনিংস খেলতে পারছিলেন না বাঁহাতি এই ব্যাটার। অবশেষে ৩৩ ইনিংসের আক্ষেপ ঘুচিয়ে লঙ্কানদের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছেন। প্রথম দিন শেষে তিনি অপরাজিত ১৪৭ রানে। স্মিথ ও খাওয়াজার ১৯৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ২ উইকেটে ৩৩০ রানের তুলেছে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া।