জাতীয় ক্রিকেট লিগ

ইফতেখারের আক্ষেপ, সালমানের জোড়া হাফ সেঞ্চুরি

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 19:49 মঙ্গলবার, 19 নভেম্বর, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

প্রথম ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া ইফতেখার হোসেন ইফতি দ্বিতীয় ইনিংসে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন আগেরদিনই। রাজশাহী বিভাগের বিপক্ষে সেঞ্চুরি পাওয়া ইফতেখারের সুযোগ ছিল রংপুরের বিপক্ষেও। তবে ৮৭ রানের ইনিংস খেলা এই ব্যাটারকে সেঞ্চুর না পাওয়ার আক্ষেপে পুঁড়িয়েছেন আরিফুল হক। ইফতেখারের পাশাপাশি বরিশালের হয়ে জোড়া হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন মোহাম্মদ সালমান হোসের ইমনও। তাদের দুজনের ব্যাটেই রংপুরের বিপক্ষে ড্র করেছে বরিশাল।

রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে সকালের শুরুতে ১ উইকেটে ১১৯ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন আদিল বিন সিদ্দীক ও ইফতেখার। দিনের প্রথম ঘণ্টায় বরিশালকে দারুণভাবে টেনে নিয়ে গেছেন তারা দুজন। ইফতেখারকে ফিরিয়ে তাদের ৫৭ রানের জুটি ভাঙেন আরিফুল। ডানহাতি মিডিয়াম পেসারের নিচু হওয়া ডেলিভারিতে খানিকটা দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যান তিনি। বল প্যাডে আঘাত করায় রংপুরের ফিল্ডাররা আবেদন করতেই আউট দেন আম্পায়ার।

সেঞ্চুরির পথে থাকা ইফতেখারকে ফিরতে হয় ১২ চারে ১৬১ বলে ৮৭ রানের ইনিংস খেলে। আরেক ব্যাটার আদিল ফিরেছেন পরের ওভারে। চৌধুরি মোহাম্মদ রিজওয়ানের শর্ট অব লেংথ ডেলিভারিতে পুল করে ছক্কা মারার চেষ্টায় লিওন ইসলামের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ২৪ রান করা তরুণ আদিল। দ্রুতই ২ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন ফজলে মাহমুদ রাব্বি ও সালমান।

তাদের দুজনের জুটি ভাঙেন আব্দুল গাফফার সাকলাইন। ডানহাতি পেসারের অফ স্টাম্পে পড়ে বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারিতে খেলার চেষ্টাই করছিলেন না ফজলে মাহমুদ। আগের কয়েকবার আউট সুইং করালেও চতুর্থ ডেলিভারিটি গাফফার করেছিলেন ইনসুইং। বাকি ডেলিভারিগুলোর মতো এবারও ব্যাটে-বলে না খেলে ছেড়ে দিয়েছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। ফলে গাফফারের ভেতরে ঢোকা দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফিরতে হয় ফজলে মাহমুদকে। ১১ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি।

ফজলে মাহমুদ ফেরার পর তাসামুল হককে সঙ্গে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন সালমান। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৮৫ রান। দারুণ ব্যাটিংয়ে ৭৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া সালমান ফিরলে ভাঙে তাদের এই জুটি। ১০৪ বলে ৬৯ রানের ইনিংস খেলা ডানহাতি ব্যাটারকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেছেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। কয়েক ওভার পর ফিরেছেন তাকে সঙ্গ দেয়া তাসামুলও। ৪০ রান করা ব্যাটারকে ফিরিয়েছেন মুগ্ধই।

পরবর্তীতে সোহাগ গাজীর ১৬, মইন খানের ৩৫ রানের সুবাদে ১০ উইকেট হারিয়ে ৩৫৮ রান তোলে বরিশাল। জাতীয় ক্রিকেট লিগের পঞ্চম রাউন্ডের ম্যাচ জিততে রংপুরের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৭৩ রান। বড় লক্ষ্য তাড়ায় শেষ বিকেলে মাত্র ১০ ওভার ব্যাটিং করেছেন রংপুরের দুই ওপেনার মিম মোসাদ্দেক ও চৌধুরি রিজওয়ান। তাদের দুজনের ব্যাটে বিনা উইকেটে ২৪ রান তোলে তারা। পরবর্তীতে দুই অধিনায়ক ম্যাচটি ড্র মেনে নেয়।