|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সতীর্থদের কাঁধে ইমরুল কায়েস, তাকে নিয়ে মিরপুরের হোম অফ ক্রিকেট প্রদক্ষিণ করছেন দলের সবাই। বেশ আনন্দঘন পরিবেশেই পালিত হচ্ছে বিদায়। বাউন্ডারি লাইনে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে হলো দলের ফটোসেশন, এগিয়ে আসলেন বোর্ড কর্তা থেকে শুরু করে জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটাররা। সবাই মিলে উদযাপন করলেন ইমরুলের লাল বলের প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর শেষ মুহূর্তটি। তার বিদায়ের দিনে প্রত্যাশিতভাবেই জিতেছে ঢাকা বিভাগ। ইমরুলের খুলনাকে তারা হারিয়েছে ৯ উইকেটে।
আগে থেকেই ঘোষণা ছিলো, এই ম্যাচটিই হতে যাচ্ছে ইমরুলের শেষ লাল বলের ম্যাচ। অর্থাৎ দীর্ঘ দেড় যুগের ক্যারিয়ারের ইতি টানার ঘোষনা দিয়েছিলেন ইমরুল। আর সে অনুযায়ী সবাই নিয়েছেন নিজেদের প্রস্তুতি।
ম্যাচে নামার সময় দেয়া হয়েছে স্মারক, ব্যাটিংয়ে নামার সময় প্রতিপক্ষ এবং নিজ দলের খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে দুবার আলাদা করে দেয়া হয়েছে গার্ড অফ অনার। এমনকি ম্যাচ শেষে কাধে নিয়ে ঘুরানো হয়েছে স্টেডিয়াম। বাংলাদেশের অন্য কোন ক্রিকেটারের বিদায় বেলায় জুটেনি এতোটা সুখ।
তবে ইমরুলের এমন বিদায়ের ম্যাচেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেনি খুলনা। প্রথম ইনিংসে ১৭২ রান করে ঢাকাকে ১৬২ রানে বেঁধে ফেলেছিল তারা। যদিও এনামুল হক, মাহফুজুর রাব্বিদের বোলিংয়ের সামনে দ্বিতীয় ইনিংসে মাথা তুলেই দাঁড়াতে পারেনি তারা।
৯১ রানে অলআউট হয়ে দ্বিতীয় দিনেই অলআউট হয় দলটি। ম্যাচ জিততে শেষ দুদিনে ১০৪ রান করতে হতো ঢাকাকে, হাতে ছিল ১০ উইকেট। প্রথম ওভারেই অবশ্য উইকেট হারায় ঢাকা। আল আমিন হোসেনের দারুণ ডেলিভারিতে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন জয়রাজ শেখ।
এরপর আর পাত্তাই পায়নি খুলনা। রনি তালুকদার এবং আরিফুল ইসলামের ব্যাটে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় দলটি। ৫৪ বলে ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন রনি। ৪৫ বলে ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন আরিফুল।