বিগ ব্যাশ লিগ

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে অধিনায়ক হলেন ওয়ার্নার

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 13:06 বুধবার, 06 নভেম্বর, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে বল টেম্পারিংয়ের অভিযুক্ত হওয়া ডেভিড ওয়ার্নার সেই কালো অধ্যায় পেরিয়ে অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে ক্রিকেটে ফিরেছিলেন। বছর কয়েক খেলার পর কয়েকমাস আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায়ও বলেছেন সাবেক এই ওপেনার। তবে অধিনায়কত্বের আজীবন নিষেধাজ্ঞা পোড়াচ্ছিল ওয়ার্নারকে। শেষ পর্যন্ত সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। এবার বিগ ব্যাশে সিডনি থান্ডারের অধিনায়ক হলেন এই ওপেনার।

২০২২ সাল থেকেই থান্ডারের অধিনায়ক হওয়ার গুঞ্জন ছিল ওয়ার্নারের। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় এবারই সেই সুযোগ মিলল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ায় এবারই প্রথম বিগ ব্যাশের পুরো মৌসুম খেলবেন তিনি।

সিডনির নেতৃত্ব ফিরে পেয়ে ওয়ার্নার বলেন, ‘এবারের আসরে পুনরায় সিডনিকে নেতৃত্ব দিতে পারা আমার কাছে বড় বিষয়। আমি শুরু থেকে দলের সঙ্গে রয়েছি। এবার ক্যাপ্টেন হয়ে ফিরছি। নামেন পাশে ‘সি’ থাকলে ভালো লাগে।'

২০১৮ সালে কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিং করতে দলকে উসকে দিয়েছিলেন ওয়ার্নার। সাবেক বাঁহাতি ওপেনারের সঙ্গে ছিলেন স্টিভ স্মিথ ও ক্যামেরন ব্যানক্রফট। এমন ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় সবধরনের ক্রিকেট থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন স্মিথ এবং ওয়ার্নার। আরেক ক্রিকেটার ব্যানক্রফট নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ৯ মাসের জন্য। ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ওয়ার্নার ও স্মিথের অধিনায়কত্বেও লাগাম টেনেছিল অস্ট্রেলিয়া।

দুই বছরের জন্য অধিনায়কত্বে নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন স্মিথ। তবে অধিনায়কত্বে ওয়ার্নারকে আজীবন নিষিদ্ধ করেছিল দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। অজিদের হয়ে ১১২ টেস্ট, ১৬১ ওয়ানডে এবং ১১০ টি-টোয়েন্টি খেলা এই ব্যাটার অবশ্য সেই সময় শাস্তি মেনে নিয়েছিলেন। বোর্ডের পূর্ববর্তী আচরণবিধি অনুযায়ী, কোনো শাস্তি মেনে নেয়ার পর এর বিরুদ্ধে আবেদনের সুযোগ ছিল না।

যদিও পরবর্তীতে সেই নিয়মে পরিবর্তন আনে অস্ট্রেলিয়া। যার ফলে শাস্তি থেকে মুক্তি বা কমানোর জন্য তিন সদস্যের পর্যালোচক কমিটি আবেদন করতে হবে অভিযুক্তকে। সেই সুযোগটা খুব ভালোভাবে নেন ওয়ার্নার। গত মাসের শুরুতে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন ৩৭ বছর বয়সী সাবেক এই ওপেনার। যেখানে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার সব প্রক্রিয়া পূরণ করেন তিনি।

সবশেষ শুনানিতে বেশ কয়েকজনকে পাশে পেয়েছিলেন ওয়ার্নার। যেখানে সিডনি থান্ডারের জেনারেল ম্যানেজার ট্রেন্ট কোপল্যান্ডের পাশাপাশি ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স, প্রধান কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড, সাবেক অধিনায়ক গ্রেগ চ্যাপেল ও জাতীয় নারী দলের সাবেক অধিনায়ক ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার্স অ্যাসিয়েশনের ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট লিসা স্টালেকার।

ওয়ার্নারের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে লিখিত সুপারিশ করেছিলেন তারা সবাই। অস্ট্রেলিয়ানদের পাশাপাশি ওয়ার্নারের জন্য পর্যালোচক কমিটিতে লিখিত ‍সুপারিশ দিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনও। শেষ পর্যন্ত সবার চাওয়া সত্যি করে অধিনায়কত্বের আজীবন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয় ওয়ার্নারের ওপর থেকে।

সিডনি থান্ডারের স্কোয়াড- ডেভিড ওয়ার্নার (অধিনায়ক), ওয়েস অ্যাগার, ক্যামেরন ব্যানক্রফট, স্যাম বিলিংস, অলিভার ডেভিস, লকি ফার্গুসন, ম্যাট গিলকেস, ক্রিস গ্রিন, লিয়াম হ্যাচার, স্যাম কনস্টাস, নিক ম্যাডিনসন, ন্যাথন ম্যাকঅ্যান্ড্রু, শেরফান রাদারফোর্ড, উইলিয়াম সালজমান, ড্যানিয়েল স্যামস, জেসন সাঙ্ঘা ও তানভীর সাঙ্ঘা।