|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে লিটন দাসের সঙ্গে ওপেনিংয়ে খেলেছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে ছন্দহীনতায় ভুগতে থাকা লিটনের সঙ্গে নতুন তানজিদে তাই খুব বেশি আশা করার সুযোগ ছিল না বাংলাদেশের সমর্থকদের। যারা খানিকটা আশায় বুক বেঁধেছিলেন সেটা গুঁড়েবালি হয়েছে বলতে পারেন। বাংলাদেশের ওপেনিং কিংবা টপঅর্ডার, রান না পাওয়া অথবা ধারাবাহিকতার অভাব; এমন সমস্যা অনেকদিন ধরেই। খেলা যে সংস্করণেই হোক না কেন ভয়টা ঘুরে ফিরে সেই ওপেনিং আর টপ অর্ডার।
সাম্প্রতিক সময়ে খুব বেশি ওয়ানডে সিরিজ খেলার সুযোগ পায়নি বাংলাদেশ। চলতি বছরের মার্চ থেকেই টি-টোয়েন্টি ও টেস্টে সময় কাটছে নাজমুল হোসেন শান্তদের। টেস্টেও বাংলাদেশের পরিসংখ্যান খুবই ভালো সেটাও বোধহয় বলার সুযোগ নেই একদমই। নিজেদের শেষ তিন সিরিজে ৬ ম্যাচের ১২ ইনিংসে মাত্র দু’বার পঞ্চাশ পেরোনো জুটির দেখা মিলেছে। টি-টোয়েন্টিতেও আছে একেবারে অধারাবাহিকতা।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা নিজেদের শেষ ওয়ানডে সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচে যথাক্রমে শূন্য রানের ওপেনিং জুটি দেখেছে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে তানজিদ ও এনামুল হক বিজয়ের কল্যাণে অবশ্য জুটির পঞ্চাশ দেখার সুযোগ হয়েছিল দেশের ক্রিকেট সমর্থকদের। তানজিদ থাকলেও আফগানিস্তানের বিপক্ষে সুযোগ হয়নি বিজয়ের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডেতে ৭১ রান করা সৌম্য জায়গা ধরে রেখেছেন।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে নামার আগে আবারও আলোচনায় বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি কিংবা টপ অর্ডারদের অধারাবাহিকতা। সবকিছু ঠিক থাকলে প্রথম ওয়ানডেতে সৌম্যর সঙ্গে দেখা যেতে পারে তানজিদকে। তবে তাদের দুজনকে চাপ না নিয়ে নিজেদের খেলাটা উপভোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন শান্ত। টপ অর্ডার ব্যাটাররা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলেই খুশি বাংলাদেশের অধিনায়ক।
এ প্রসঙ্গে শান্ত বলেন, ‘আমার মনে হয় যেকোন ফরম্যাটেই টপ অর্ডার.. শুরুটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নির্দিষ্ট করে যারা টপ অর্ডারে ব্যাটিং করে তারা বেশি চাপ নিয়ে ব্যাটিং করুক আমি এই জিনিসটা চাই না। আমি চাই উপরের দিকে যারা ব্যাটিং করছে খেলাটা উপভোগ করুক, যতটুকু সামর্থ্য আছে ওই অনুযায়ী দলের জন্য খেলুক।’
ইনিংসের শুরুতে নতুন বলে বাংলাদেশের টপ অর্ডারদের জন্য বড় চিন্তার কারণ হতে পারেন ফজলহক ফারুকি। অফ স্টাম্পের বাইরে ফেলে ভেতরে ঢোকানো ডেলিভারিতে বাঁহাতি ব্যাটারের জন্য ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেন তিনি। সৌম্য, তানজিদ, শান্তদের জন্য তাই কঠিন চ্যালেঞ্জই অপেক্ষা করছে। বাংলাদেশের অধিনায়ক অবশ্য ফারুকিকে সামলানোর সিদ্ধান্তই টপ অর্ডারদের উপরই ছেড়ে দিয়েছেন।
শান্ত বলেন, ‘অবশ্যই, দারুণ একজন বোলার। কিন্তু আমার মনে হয় এই দলের বিপক্ষে আমরা অনেক ম্যাচ খেলেছি। ওই আইডিয়াটুকু তো অবশ্যই আছে। আমি যেটা বলব টপ অর্ডারে যারা ব্যাটিং করবে তাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমরা নতুন বলগুলো কিভাবে খেলব।’