বিসিবি এইচপি দল

অস্ট্রেলিয়ায় রিপন-শামীমদের নৈপুণ্যে ফাইনালে এইচপি

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 10:33 রবিবার, 18 আগস্ট, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

নর্দান টেরিটোরি স্ট্রাইককে তিন উইকেটে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় টপ অ্যান্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফাইনালে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেটে বোর্ড (বিসিবি) হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) একাদশ। ২১ রানের ব্যবধানে ম্যাচটি জিতেছে বিসিবি এইচপি। ফাইনালে বিগব্যাশের দল অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে এইচপি।

অস্ট্রেলিয়ায় ৯ দলের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট টপ এন্ড সিরিজে এ দিন টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন স্ট্রাইকের অধিনায়ক জ্যাকব ডিকম্যান। শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি এইচপির। প্রথম ওভারেই ওপেনার জিসান আলম আউট হন মাত্র ৪ রান করে।

শুরুতে উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে টাইগাররা। তানজিদ হাসান তামিম এবং পারভেজ হোসেন ইমন দলের হাল ধরার চেষ্টা করলে ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলে ১৬ রান করে আউট হন তানজিদও। তারপর ইমনের সঙ্গী হয়ে মাঠে নামেন আফিফ হোসেন ধ্রুব।

অনেকদিন ধরেই রান সংকটে ভুগতে থাকা ধ্রুব ইনিংসের ৯ম ওভারে হাকান তিন বলে তিনটি চার। কিন্তু লম্বা করতে পারেননি ইনিংস। পরের বলেই সাজঘরে ফেরেন ১৬ বলে ২২ করে। তারপর প্রথম বলেই লেগ বিফোর উইকেটের স্বীকার হন আরেক ওপেনার ইমন।

অধিনায়ক আকবর আলী মাত্র ৩ রানে আউট হলে বিপাকে পরে বাংলাদেশ দল, ক্ষীণ হয়ে যায় বড় সংগ্রহের পথ। দলের বিপদে ত্রানকর্তার ভূমিকায় মাঠে নামেন শামীম হোসেন, করেন দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪১ রান। ৩৪ বলে খেলা বুদ্ধিদীপ্ত এই ইনিংসে ভর করে ১৩৮ রানের লড়াকু পুজি পায় বাংলাদেশ এইচপি দল।

কম রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করে অস্ট্রেলিয়ান একাডেমীর ওপেনাররা। প্রথম উইকেটের দেখা পেতে বাংলাদেশের বোলারদের অপেক্ষা করতে হয় সপ্তম ওভার পর্যন্ত। এইচপির হয়ে প্রথম আঘাতটা হানেন আলিস আল ইসলাম

দশম ওভারে এনটির উইকেটে জোড়া আঘাত হানেন আরেক স্পিনার রাকিবুল হাসান। ১৩তম ওভারে আবারও এক ওভারে দুই উইকেটের দেখা পান বাংলাদেশের বোলাররা। সেই দুই উইকেট নিয়ে খেলার মোড় সম্পূর্ণ ঘুরিয়ে ম্যাচের দখল নেন পেসার রিপন মন্ডল।

বাংলাদেশ এইচপি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত এবং আক্রমনাত্মক বোলিংয়ের তোপে শেষমেষ ১১৭ রানে থামতে বাধ্য হয় নর্দানের ব্যাটাররা। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন পেসার রিপন মন্ডল। শেষ দিকে এসে গুরুত্বপুর্ণ সেই তিন উইকেটের জন্য ম্যাচসেরা হন তিনি।