![শরণার্থী দল হিসেবে খেলতে চান আফগান নারী ক্রিকেটাররা](https://cricfrenzy.com/imagestorages/2024-07/cricfrenzy1719899760360998.webp)
|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
এই মুহূর্তে টেস্ট খেলুড়ে সবগুলো দেশের মধ্যে কেবল আফগানিস্তানের কোনো নারী ক্রিকেট দল নেই। ২০২১ সালে দেশটিতে নারী ক্রিকেট নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তালেবানরা। সাম্প্রতিক সময়ে আইসিসির কাছে ক্রিকেটে ফেরার আকুতি জানিয়েছে আফগান নারী ক্রিকেটাররা।
![](https://cricfrenzy.com/public/in_between.jpeg)
আফগানিস্তানের পুরুষ ক্রিকেট দল পুরো বিশ্বেই সমাদৃত। রশিদ খানের নেতৃত্বাধীন এই দলটি গেল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলেছে। এই দলটির সেমিফাইনালে খেলা অনুপ্রাণিত করেছে দেশটির নারী ক্রিকেটারদেরও।
আইসিসিকে পাঠানো চিঠিতে তারা লিখেছে, 'আমরা আফগানিস্তানের চুক্তিভুক্ত নারী ক্রিকেটাররা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠায় রশিদ খানের নেতৃত্বাধীন পুরুষ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানাই। আমরা তাদের অর্জনে গর্বিত। তবে দুঃখ এটিই, আমরা নারী ক্রিকেটার হওয়াতে দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিতে পারছি না।'
![](https://cricfrenzy.com/public/walton-fg16.jpeg)
![](https://cricfrenzy.com/public/banner_size_687x165_gif.gif)
'আমরা ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসিকে অস্ট্রেলিয়াতে আমাদের একটি শরণার্থী ক্রিকেট দল গঠনের অনুরোধ জানাচ্ছি। যে দলটি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ইস্ট এশিয়ান ক্রিকেট কার্যালয়ের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। এই দলটির মাধ্যমে আমরা পুরুষ ক্রিকেটারদের মতোই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেশের সকল নারীদের প্রতিনিধিত্ব করতে চাই। যেটি আমরা দেশে থেকে করতে পারছি না।'
এদিকে তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসার পর দেশত্যাগও করেছেন দেশটির নারী ক্রিকেটাররা। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় বিভিন্ন ক্লাবে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। নারী ক্রিকেটারদের দাবি, সুযোগ পেলে পুরুষ ক্রিকেট দলের মতোই পারফর্ম করতে চান তারা।
'আমাদের লক্ষ্য এই শরণার্থী দলটির মধ্য দিয়ে সারা পৃথিবীর সামনে আমরা আমাদের প্রতিভার প্রমাণ রাখব। এর মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানে বসবাস করা নারীদের আশার আলো দেখাব। আফগানিস্তানে নারীদের প্রতি কী অমানবিক আচরণ হচ্ছে, সেটি দুনিয়ার সামনে তুলে ধরব। আমরা আফগানিস্তান পুরুষ দলের মতোই সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলার যোগ্যতা রাখি।'
আফগানিস্তানে তালেবান সরকার যখন নারী ক্রিকেট দলই বাতিল করে দেয়, তখন দেশটিকে পুরুষ ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করার জোর দাবি উঠে। কিন্তু সেই দাবি উপেক্ষা করে আইসিসি। তবে এর কিছুটা প্রভাব পড়ে আফগানদের ওপর।
নারী ক্রিকেট বাতিল করার কারণে আফগানিস্তানের সঙ্গে দুটি সিরিজ বাতিল করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। এমনকি ভবিষ্যতেও দলটির সাথে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ না খেলার ব্যাপারে মতামত দিয়েছে তারা।